প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ঘরের মধ্যে স্লোগান দিয়ে কাজ হবে না। সবাইকে রাজপথে নেমে আসতে হবে। বুকের রক্ত দিয়ে গণতন্ত্র উদ্ধার করতে হবে। রাজপথে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করতে হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিএনপির আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে যাতে ওরা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। এদের কাছে গণতন্ত্র আশা করা যায় না।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমেদ বলেন, শেখ মুজিব স্বেচ্চায় গ্রেফতার হয়েছিলেন। একারণে তিনি মুক্তিযোদ্ধা নন। তাকে যদি জাতীর পিতা বলা হয় তবে মওলানা ভাসনী হবে জাতীর পিতামহ। তিনি স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন।
এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে যুদ্ধে জয়রাভ করেছি। যুদ্ধ জয়লাভের কৌশল আমরা জানি। আজকে যারা যুবক বা তরুণ, এই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে এগিয়ে এসো। আন্দোলনে বিজয়ী হওয়ার কৌশল আমরা তোমোদের দেব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, এই সরকারকে সরাতে হলে দু একটি গাড়ি ভাঙলে হবে না। রাজপথে নামতে হবে। তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলে গণঅভ্যুথানের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
রফিকুল ইসলাম বলেন, বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারলে এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানো যাবে না। রাজপথে জনতার ঢল নামাতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, চর দখলের মত সরকার ও তার অনুগত নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচন দখল করা হয়েছে। এটাকে গণতন্ত্র বলা যায় না।
স্বাধীনতার চেতনা, গণতেন্ত্র বিশ্বাস এবং জিয়াকে নেতা মানি। আমাদের সামনে আর কোনো বিকল্প নেই। এই সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে।