টোল অবৈধ সরকারের অর্থনৈতিক দেউলিয়াত্বের প্রমাণ: সালাহ উদ্দিন
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়েছে অনেক আগেই। গণবিরোধী টোল নীতিমালা অনুমোদনের মাধ্যমে এই অবৈধ সরকার তাদের অর্থনৈতিক দেউলিয়াত্বও প্রমাণ করেছে।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিএনপির পক্ষে দলটির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন।
সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সড়ক ও সেতুগুলোতে টোল আদায় করার সিদ্ধান্ত জনগণের ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’র অবস্থা সৃষ্টি করবে। এতে সকল গণপরিবহনের ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে সকল প্রকার পণ্যের মূল্য তথা জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাবে বহুগুনে। সাইকেল, রিক্সা, ভ্যানগাড়িকেও টোল আদায়ের আওতাভুক্ত করে সরকার সম্পূর্ণভাবে গরীব মারার নীতিই অবলম্বন করলো। এর প্রত্যক্ষ ভুক্তভোগী হবে দেশের আপামর জনসাধারণ।
তিনি বলেন, সড়ক-মহাসড়কগুলোর বেহাল অবস্থার দরুণ যানবাহন চলাচলে ভয়াবহ জটের সৃষ্টির কারণে যেখানে মানুষের চলাচল নিরাপদ, স্বস্তিদায়ক ও নির্বিঘ্ন নয়, সেখানে রাস্তার টোল ধার্য করা গণবিরোধী নীতিরই প্রতিফলন।গত কয়েকদিন পূর্বে গণবিরোধী, অবৈধ, আওয়ামী বাকশালী সরকার জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার কথা কোনরূপ বিবেচনায় না নিয়ে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। এতে জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয়ও বেড়েছে।
এই ব্যয়বৃদ্ধির ক্ষতের ওপর নুনের ছিটা দিয়ে গণযন্ত্রনা আরও বৃদ্ধির মানসে সরকার গতকাল দেশের সকল জাতীয়, আঞ্চলিক, জেলা ও গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক এবং ২০০ মিটার ও এর অধিক লম্বা সকল সেতুতে যান চলাচলের জন্য টোল আদায় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার কোনো ট্যাক্স বা টোল ধার্য করার পুর্বে সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতো দেশের জনগণের সেই ব্যয়ভার বহন করার ক্ষমতা আছে কিনা। কিন্তু এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, বরং জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া স্বঘোষিত এক অবৈধ, অগণতান্ত্রিক দানবীয় সরকার। সেজন্যই জনগণের মতামতের বিন্দুমাত্র মূল্যও তাদের কাছে নেই। ক্ষমতার মসনদ চিরস্থায়ী করা ও ক্ষমতার দাপটে জনগণের সম্পদ লুটপাট করাই এই অবৈধ সরকারের মুখ্য উদ্দেশ্য।
সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি অবৈধ সরকারের এই গণবিরোধী টোল আদায়ের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দেশের জনগণের দুর্ভোগ-দুরবস্থার কথা বিবেচনায় নিয়ে এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় দেশের জনগণ এই গণবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে শীঘ্রই তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।