সহিংসতা রোধে ভূমিকা রাখেনি সেনাবাহিনী: সুজন

sujon সুজনসিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ উপেজেলা নির্বাচনে সহিংসতা রোধে সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেয়া হলেও তারা গুরুত্বপূর্ণ কোনো ভূমিকা পালন করেনি বলে অভিযোগ করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন।

শুক্রবার পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনে সুজন আয়োজিত ‘পঞ্চম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের তথ্য প্রকাশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করা হয়।

সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতা রোধে সেনা মোতায়েন করা হয় এবং তাদেরকে সে আইনি ক্ষমতাও দেয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে সহিংসতা রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে তাদেরকে আমরা দেখিনি।’

তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং ভোট জালিয়াতি রোধে সংবিধান ও আইন আমাদের নির্বাচন কমিশনকে যথেষ্ট ক্ষমতা দিয়ে রেখেছে। কিন্তু কমিশন তা প্রয়োগ করছে না।’

সুজন সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচনে আগের দিন ও ভোটের দিন কেন্দ্রে কেন্দ্রে সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও বিজিবির টহলও সহিংসতা রোধে কোনো কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারছে না।’

তিনি বলেন, ‘চতুর্থ পর্যায়ের নির্বাচনে অনিয়ম ও সহিংসতারোধে সশস্ত্র বাহিনীকে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৩১ ধারা প্রয়োগের কথাও বলেছে কমিশন। কিন্তু নিজেদের তৎপরতা বৃদ্ধিতে তারা নতুন কোনো মাত্র যোগ করতে পারেনি। গত তিনটি পর্যায়ের মতো এবারও তাদের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে।’

ড. বদিউল বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে ক্রমবর্ধমান কারচুপি ও সহিংসতা আমাদের শঙ্কিত করছে। নির্বাচনী ব্যবস্থা কলুষমুক্ত করা না হলে দেশে শান্তি ফিরে আসবে না। বস্তুত, চলমান সহিংসতার কারণে দেশে নরকীয় পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।’

এজন্য নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সকল প্রকার বিতর্ক ও সহিংসতামুক্ত করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করার জন্য সরকার, রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধে সুজন সহযোগী সমন্বয়কারী সানজিদা হক বিপাশা বলেন, হলফনামা অনুযায়ী উপজেলা নির্বাচনের পঞ্চম পর্যায়ের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ৩৪.৩৮ ভাগই এসএসসি বা তার চেয়ে কম শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন।

এছাড়া মোট ৩৫৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ২৩০ জনের পেশা ব্যবসা। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ১১২ জনের বিরুদ্ধে বর্তমানে এবং ১২২ জনের বিরুদ্ধে অতীতে মামলা ছিল।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ