ঢাবিতে দুই ছাত্রলীগ নেত্রী হল ছাড়া
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ আন্দোলনকারী এক ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ কুয়েত-মৈত্রী হলের ছাত্রলীগ সভাপতি আজমীরা বিনতে জামান ও সাধারণ সম্পাদক লিসা চাম্বু গংকে হল থেকে বের করে দিয়েছে হল প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে প্রক্টর এম আমজাদ আলী তাঁদের নিজ গাড়িতে নিয়ে হল থেকে বেরিয়ে যান।
ওই ছাত্রীকে মারধরের ঘটনায় হল প্রাধ্যক্ষ ফরিদা বেগমকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রক্টর এম আমজাদ আলী।
কুয়েত-মৈত্রী হল সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে আন্দোলনরত কুয়েত-মৈত্রী হলের ছাত্রীরা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশে হল থেকে বের হতে গেলে হলের মূল ফটক আটকে রাখে কর্তৃপক্ষ। পরে ছাত্রীরা ফটকের তালা ভেঙে বের হন। এ সময় কয়েকজন ছাত্রী ছাত্রলীগ কুয়েত-মৈত্রী হল শাখা সভাপতি আজমীরা বিনতে জামানের একটি ব্যানার ছিঁড়ে এতে আগুন ধরিয়ে দেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এবং ‘ছাত্রী সংস্থা’ সন্দেহে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে দর্শন বিভাগের ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে মারধর করেন আজমীরা ও ছাত্রলীগের কয়েকজন নেত্রী। পরে ওই ছাত্রীর সহপাঠীরা বিক্ষোভ করলে হল প্রাধ্যক্ষের সহায়তায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় কয়েকজন ছাত্রী ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকে মারধর করেন বলে জানা যায়। পরে প্রাধ্যক্ষের কার্যালয়ে প্রাধ্যক্ষ, আবাসিক শিক্ষক, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টররা বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসেন। এ সময় ছাত্রীদের তোপের মুখে আজমীরা ও লিসাকে হল থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এম আমজাদ আলী বলেন, ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ব রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে গিয়ে হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ কুয়েত-মৈত্রী হলের ছাত্রীরা। এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা চাইতে বুধবার রাত সোয়া ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের কার্যালয়ে যান প্রায় ৩৫০ জন ক্ষুব্ধ ছাত্রী।