গৌরীপুরে রোববার আধাবেলা আ’লীগের হরতাল
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ময়মনসিংহঃ জেলার গৌরীপুরে সাবেক স্থাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ডা. ক্যাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান ফকির এমপির অনুসারীদের ওপর প্রতিপক্ষ গ্রুপের হামলার ঘটনায় পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ২০ জন নেতাকর্মীর নামে গৌরীপুর থানায় মামলা হয়েছে।
শনিবার সকালে সিধলা ইউনিয়নের মৃত হাজী আমির উদ্দিনের ছেলে আওয়ামলীগ নেতা মো. আপ্তাব উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। এর আগে জেলা যুবলীগের সদস্য মো. কামাল হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। শনিবার দুপুরে তাকে জেল হাজতে পাঠায় আদালত।
এদিকে, পৌর আওয়ামীলীগ কার্যালয় ও দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িতে রাতভর পুলিশের তল্লাশির প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে এমপি বিরোধী আওয়ামীলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে তারা গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: হামিদুল ইসলামের প্রত্যাহারের দাবিতে পৌর আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। এসময় পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রওশন সারোয়ার সজীর দলীয় নেতাকর্মীদের হয়রানি ও দলীয় কার্যালয়ে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে তছনছ করার প্রতিবাদে রোববার গৌরীপুর উপজেলায় অর্ধদিবস হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য যে, তৃতীয় দফা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য গৌরীপুর আওয়ামীলীগের তৃণমূলের সমর্থনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী আহম্মদ খান পাঠান সেলভী মনোনীত হন। কিন্তু সাবেক স্থাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ডা. ক্যাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান ফকির এমপি তার অনুসারীদের নিয়ে তখন বিদ্রোহী প্রাথী শরিফ হাসান অনুর পক্ষে অবস্থান নেন। ফলে গত ১৫ মার্চ গৌরীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী ১৯ দলীয় জোটের প্রাথীর কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হন। তখন থেকে তার লোকজন প্রকাশ্যে এমপির কর্মকাণ্ডের বিরোধীতা শুরু করেন। এমনকি দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে নির্বচনী প্রচারণা করায় বিভিন্ন স্থানে এমপি গ্রুপের নেতাকর্মীদের ওপর প্রতিপক্ষের হামলার ঘটনা ঘটে।
এছাড়াও শুক্রবার বিকেলে এমপি গ্রুপের লোকদের প্রতিপক্ষ লোকজন পামবিথী সড়কের জোড়া পুকুর পাড়ে জাতীয় চারনেতার ম্যুরাল চত্বরে দুই নেতাকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় দুই হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ কয়েকজন সিনিয়র আওয়ামীলীগের নেতা লাঞ্ছিত হন।