ফ্লাডলাইট বিপর্যয়ের নেপথ্যে আকরাম খান!
স্পোর্টস ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ আবারও চট্টগ্রামে ফ্লাডলাইট বিপর্যয়। ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে তাই দুইবার অনাকাক্সিক্ষত বিরতি। একটি ফ্লাডলাইটের আলো কমে আসায় দুই দফায় ১০ মিনিট করে ২০ মিনিট খেলা বন্ধও রাখতে হয়েছে।
বারবার কেন চট্টগ্রামেই এমন হচ্ছে,যেখানে খোদ আইসিসি বাধ্যতামূলক করেছে জেনারেটর দিয়ে ফ্লাডলাইট জ্বালানোর। এজন্য বাড়তি ১৩ হাজার ৫০০ ইউএস ডলার করে পরিশোধ করে আসছে তারা।
এর কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদে চট্টগ্রামের প্রতিনিধি আ জ ম নাসির বললেন, ‘যে কম্পানি থেকে জেনারেটর সরবরাহ করা হয়েছে, বিষয়টি তাদের জিজ্ঞেস করলেই ভালো। এই ভেন্যুর জেনারেটর এসেছে আকরাম খান ও ফারুক আহমেদের কম্পানি থেকে।’ মানে দায়টা তাহলে সাবেক দুই অধিনায়ক আকরাম ও ফারুকের!
প্রচার আছে যে ‘অমনি পাওয়ার’ নামের যে কম্পানি জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জেনারেটর দিয়েছে, সেটার মালিকানায় আকরাম ও ফারুকের সঙ্গে আছেন তাদের এক বন্ধুও। তবে আইসিসি দরপত্র আহ্বান করার পর বাংলা ক্যাট নামের একটি নামি প্রতিষ্ঠানই জেনারেটর সরবরাহের কাজ পেয়েছিল বলেও জানা গেছে। যদিও শেষ পর্যায়ে বিসিবির কিছু প্রভাবশালী কর্মকর্তার কারণে অমনি পাওয়ার নামের কম্পানি জেনারেটর সরবরাহ করে বলে বিসিবির অন্দরমহলেই নানা কানাঘুষা আছে।
এমনও জানা গেছে যে, আইসিসি জেনারেটর ভাড়া হিসেবে প্রতি ম্যাচের দিন ১৩ হাজার ৫০০ ইউএস ডলার করে পরিশোধ করে আসছে কিন্তু সরবরাহকারী স্থানীয় প্রতিষ্ঠান পাচ্ছে মোটে তিন হাজার!
তবে বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির প্রধান আকরাম খান দাবি করছেন যে জেনারেটর সরবরাহ করা প্রতিষ্ঠানের মালিক তিনি নন।
নাসিরের বক্তব্য খণ্ডন করতে গিয়ে অবশ্য তিনি স্বীকার করেছেন যে, ‘আমি মোটেও ওই কম্পানির মালিক নই। তবে হ্যাঁ, আমার এক বন্ধু মালিক। সম্ভব হলে তাঁকে যেন কাজ দেওয়া হয়, এই অনুরোধ আমি বিসিবিকে করেছিলাম।’
তিনি মালিক নন,এটা মেনে নিলেও কিন্তু দায় এড়ানো যাচ্ছে না। কেননা বন্ধুকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার সুপারিশ করার কথা তো নিজেই স্বীকার করেছেন আকরাম।