হুমকিদাতা-চাঁদাবাজ রানা চৌধুরী গ্রেফতার
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একে আজাদকে হুমকি প্রদান ও চাঁদা দাবি করা রানা চৌধুরীকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রাজধানীর ধানমন্ডি রোড নং-৪, বাসা নং-২৭ থেকে শনিবার বিকাল ৪টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে যে মোবাইল ফোন দিয়ে চাঁদা দাবি করত সেই মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে ডিবি।
ডিবির সিনিয়র এসি মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম এবিসি নিউজ বিডিকে জানান, গত ২৭ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টায় এবং ২৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টা ৩৭ মিনিটে একে আজাদকে মৃত্যুর হুমকি দিয়ে দুইটি মেসেজ (এসএমএস) পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় আজাদ একটি জিডি করে (যার নং-১১২২, তারিখ-২৫/১২/২০১৩)। এর পরেও বিভিন্ন সময়ে একইভাবে একাধিক এসএমএস একে আজাদকে পাঠানো হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামি রানা চৌধুরী (৩৫) প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে বিভিন্ন ব্যাংকের এমডি, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, হা-মীম গ্রুপের এমডি এবং বিভিন্ন ধনী লোকের কাছে নিজেকে মাদারীপুর শিবচরের সাবেক এমপি আবুল খায়ের চৌধুরীর ছেলে হিসেবে পরিচয় দিয়ে জমি কেনা-বেচা, ব্যাংকের লোন করিয়ে দেয়া, ব্যবসায়িক লেনদেন ইত্যাদি সংক্রান্তে তদবীর করে। সে বলে তার মা একজন রাজনীতিবিদ এবং সাউথইস্ট ব্যাংকের পরিচালক। গ্রেফতারকৃত রানা বিভিন্ন শিল্পপতি ও ধনী মানুষকে চাঁদার জন্য বিভিন্ন গোপন নম্বর হতে ফোন দিয়ে ও এসএমএস প্রদানের মাধ্যমে হুমকি দেয়। সে পড়াশোনা জানেনা। অন্যকে দিয়ে হুমকি প্রদান ও ভয়-ভীতি দেখানোর জন্য নিজের মোবাইলে এসএমএস লিখে নেয় এবং পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন মোবাইলে সেগুলো প্রেরণ করে।
গ্রেফতারকৃত রানা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে প্রতারণা ও ভয়ভীতির মাধ্যমে একজন সাবেক বিচারপতির মেয়ে, যিনি বর্তমানে একজন ডাক্তার হিসেবে হার্ট ফাউন্ডেশনে কর্মরত তাকে বিয়ে করে। বিয়ে করার পর উক্ত মহিলা ডাক্তার তার ভুল বুঝতে পারে। কিন্তু রানার হুমকীর ভয়ে সে ঘর সংসার চালিয়ে যায়।
রানা ধানমন্ডিতে ৪০ হাজার টাকার ভাড়া বাসায় থাকে। গ্রামের বাড়ী মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার শ্রী-কৃষ্ণদী গ্রামে। তার বাবা একজন কৃষক। তারা ৩ ভাই। সে ১৯৯৯ সাল থেকে ঢাকায় বসবাস করছে। সে নিজেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে পরিচয় দেয়।