চীনে সব পণ্য শুল্কমুক্ত রপ্তানির প্রস্তাব বাণিজ্যমন্ত্রীর
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ চীনে বাংলাদেশি সব পণ্য শুল্কমুক্ত কোটায় রপ্তানির প্রস্তাব দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশসহ চার দেশের সমন্বয়ে বিসিআইএম অর্থনৈতিক করিডোরের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে চীনের ইউনানন প্রদেশের গভর্নর লি জিহ্যাংয়ের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশে ভারতে আমরা তামাক ও অ্যালকোহল ছাড়া মোট ২৫টি পণ্য শুল্কমুক্তভাবে রপ্তানি করতে পারি। এজন্য চীনকেও আমরা বাংলাদেশি সব পণ্য শুল্কমুক্ত কোটায় আমদানি করার প্রস্তাব দিয়েছি। তারা বিষয়টি বিবেচনা করে দেখছেন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, চীনেও আমরা শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবো।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিসিআইএম (বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমার) অর্থনৈতিক করিডোরের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ভারত ও চীনের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। খুব শিগগিরই বাকি কাজ শেষ হবে।
এ প্রেক্ষিতে তোফায়েল আহমেদ দাবি করেন, বিসিআইএম বাস্তবায়ন হলে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সার্বিকভাবে বাংলাদেশই সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে।
মন্ত্রী আরো জানান, মুন্সীগঞ্জের বাউশিয়ায় গার্মেন্টস পল্লী করতে ৮শ কোটি টাকা প্রয়োজন। চীন সরকার সেখানে অর্থায়ন করতে চায়। এছাড়া ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার স্থায়ী কাঠামো দিতে যে পরিকল্পনা করা হচ্ছে, তাতেও চীন অর্থায়ন করতে রাজি হয়েছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ যেসব দেশ থেকে পণ্য আমদানি করে তার মধ্যে চীন প্রথম এবং ভারত দ্বিতীয়। প্রতিবছর প্রায় ৬শ কোটি ডলারের পণ্য আমরা চীন থেকে আমদানি করি। কিন্তু এর বিপরীতে মাত্র ৫০ কোটি ডলারেরও কিছু বেশি পণ্য রপ্তানি করে থাকি।
এর আগে বৈঠক শেষে ইউনান প্রদেশের গভর্নর লি জিহ্যাং সাংবাদিকদের বলেন, আমরা মূলত ৬ থেকে ১০জুন চীনে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় বাংলাদেশকে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তাব নিয়ে এসেছি। তবে সার্বিকভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ানো এবং দুদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক উন্নয়ন ও জোরদারের লক্ষেও এ বৈঠক ফলপ্রসু হয়েছে।
লি জিহ্যাং আরও বলেন, বাংলাদেশ আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু। আমরা বিভিন্নভাবে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে চাই। কেননা দেশটি অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে খুব ভালো করছে। আর আমরা বাংলাদেশের এই অগ্রগতিতে দেশটির পাশে থাকতে চাই।
বৈঠকে ঢাকায় নিযুক্ত চীনে রাষ্ট্রদূত লি জুনসহ দেশটির ইউনান প্রদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মাও ওয়েনগু, একই প্রদেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের মহাপরিচালক জুও হং, উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশনের মহা-পরিচালক ওয়াং জিলিয়াংসহ দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।