অর্থনীতি নিয়ে সন্তুষ্ট আইএমএফ
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল।
রোববার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে দেখা করে সন্তুষ্টির কথা জানান আইএমএফের নির্বাহী পরিচালক রাকেশ মোহন।
সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর দপ্তরে বৈঠক শেষে রাকেশ মোহন উপস্থিতি সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খুবই ভালো এবং স্থিতিশীল। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ১৯ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড রিজার্ভ খুবই ভাল।
“এই বিষয়গুলোই আমি অর্থমন্ত্রীকে অবহিত করেছি এবং বলেছি বাংলাদেশের অর্থনীতি সঠিক পথেই এগুচ্ছে।”
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসা রাকেশ অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় একঘণ্টা বৈঠক করেন।
তিনি আরো বলেন, গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ ভালো প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। এই ধারাবাহিকতাই প্রমাণ করে দেশটির অর্থনীতি স্থিতিশীল।
“বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি খুবই ভালো। চলতি হিসাবে বড় উদ্বৃত্ত রয়েছে। অর্থনীতির অন্য সূচকগুলোও ভালো।
আইএমএফের নির্বাহী পরিচালক, “আমাদের টিম বাংলাদেশের অর্থনীতি মূল্যায়ন করছে। এরপর সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।”
পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমানের সাথে দেখা করেন বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত, শ্রীলংকা ও ভুটান অঞ্চলের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত রাকেশ মোহন। তারা বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনীতি, বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্য তথা সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে মতবিনিময় করেন।
এসময় আইএমএফ নির্বাহী পরিচালকের উপদেষ্টা মনোজ গোভিল, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নররা, চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাডভাইজার ও চিফ ইকোনমিস্ট উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার এক সপ্তাহের সফরে বাংলাদেশে আসেন আইএমএফের এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদের পরিমাণ ছিল ১৯ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার।
চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ শতাংশ। গত অর্থবছরে (২০১২-১৩) প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১১ দশমিক ২২ শতাংশ।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি সময়ে) চলতি হিসাবের ভারসাম্যে (ব্যালান্স অফ পেমেন্ট) উদ্বৃত্তের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১২ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই উদ্বৃত্তের পরিমাণ ছিল ১৪৪ কোটি ডলার।