আবারো হার গ্রাস করল বাংলাদেশকে
স্পোর্টস ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বাংলাদেশকে ৫০ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ভালোমতোই টিকে রইলো পাকিস্তান।
পাকিস্তানের দেয়া ১৯১ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৪০ রান তুলতে পারে স্বাগতিকরা
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উমর গুলের বলে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান তামিম ইকবাল।
সাঈদ আজমলের প্রথম বলে এগিয়ে এসে চার হাঁকিয়েছিলেন এনামুল হক। কিন্তু পরের দুই বল ঠিক মতো খেলতে পারেননি। চতুর্থ বলে টাইমিংয়ে গড়বড় করে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি।
শহীদ আফ্রিদির প্রথম বলেই জায়গা করে নিয়ে খেলতে চেয়ছিলেন শামসুর রহমান। একটু লাফিয়ে উঠা বলটি ঠিকভাবে খেলতে না পেরে তিনি ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষক কামরান আকমলকে।
জুলফিকার বাবরের করা পরের ওভারের প্রথম বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
ওমর গুলের বলে একবার জীবন পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি সাকিব আল হাসান। শর্ট বলে মারতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি।
এর আগে রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আহমেদ শেহজাদের অপরাজিত শতকে ৫ উইকেটে ১৯০ রান করে পাকিস্তান।
কামরান আকমলের সঙ্গে শেহজাদের ৪৩ রানের উদ্বোধনী জুটি পাকিস্তানকে ভালো সূচনা এনে দিয়েছিল। পঞ্চম ওভারে কামরান আকমলকে ফিরিয়ে দলকে ‘ব্রেক থ্রু’ এনে দেয়ার কৃতিত্ব আব্দুর রাজ্জাকের।
সুইপ করতে গিয়ে বাড়তি বাউন্সের জন্য ঠিকভাবে খেলতে পারেননি কামরান। শর্ট ফাইন লেগে সময় পেলেও বলের ঠিক নিচে যেতে পারেননি জিয়াউর রহমান। তবে শেষ মুহূর্তে ঝাপিয়ে পড়ে অসাধারণ এক ক্যাচ নেন তিনি।
সুপার টেনে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা রাজ্জাকের হাত দিয়েই আসে দ্বিতীয় সাফল্য। নবম ওভারে এগিয়ে এসে খেলতে ফ্লাইটে পুরোপুরি বিভ্রান্ত হয়ে স্ট্যাম্পিং হয়ে যান অধিনায়ক মোহাম্মদ হাফিজ। অতিথিদের স্কোর তখন ৭০/২।
পরের ওভারে বল করতে এসেই উমর আকমলকে বিদায় করেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। উমর আকমলের ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে শর্ট থার্ড ম্যানে ক্যাচ গিয়েছিল, ঝাপিয়ে পড়ে তা তালুবন্দী করতে কোনো ভুল করেননি তামিম ইকবাল।
দ্রুত দুই উইকেট হারালেও কোনো প্রভাব পড়তে দেননি শেহজাদ। শোয়েব মালিকের সঙ্গে ৮৩ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে নে তিনি। মালিককে (২৬) স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে ৫০ বল স্থায়ী জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান।
শহীদ আফ্রিদির (২২) সঙ্গে শেহজাদের ১২ বলে ৩৪ রানের জুটি দলকে দুইশ’ রানের কাছাকাছি নিয়ে যায়। আল-আমিন হোসেনের করা শেষ ওভারে লংঅনে জিয়ার হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেনে আফ্রিদি।
পাকিস্তানের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে শতক করা শেহজাদ অপরাজিত থাকেন ১১১ রানে। তার ৬২ বলের ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও ৫টি ছক্কা।
শেহজাদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শেষ ১০ ওভারে ১১৫ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। এ রান করার পথে জিয়ার এক ওভার থেকেই ২২ রান নেয় ব্যাটসম্যানরা।
স্পিনারদের বিপক্ষে সহজে রান আসেনি, তাই পেসারদের ওপর দিয়েই গেছে মূল ঝড়। পেসারদের ৯ ওভার থেকে এসেছে ১২২ রান। স্পিনারদের ১১ ওভার থেকে ৬৫ রান এসেছে।
মাশরাফি বিন মুর্তজা ৪ ওভারে কোনো উইকেট পাননি, দিয়েছেন ৬৩ রান। টি-টোয়েন্টিতে এটি দ্বিতীয় খরুচে স্পেল।
২০ রানে ২ উইকেট নিয়ে রাজ্জাক বাংলাদেশের সেরা বোলার।