স্ত্রী ও শ্যালিকাকে পেট্রোলের আগুনে হত্যা
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় পেট্রোলের আগুনে স্ত্রী ও শ্যালিকাকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে টুঙ্গিপাড়ার পাকুড়তিয়া গ্রামে অগ্নিদগ্ধ হন খাদিজা আকতার কুলসুম (১৭), তার সহোদরা স্বর্ণা খানম (৫) এবং চাচাত বোন সাথী খানম (১২)। শুক্রবার কুলসুম ও পরে স্বর্ণার মৃত্যু হয়।
শনিবার রাতে পাকুড়তিয়া গ্রামে বাবার বাড়িতে কুলসুম ও স্বর্ণার দাফন সম্পন্ন হয়।
এ ঘটনায় কুলসুমের প্রাক্তন স্বামী লুৎফর রহমানকে আসামি করে টুঙ্গিপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন কুলসুমের বাবা।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার চন্ডিবর্দি গ্রামের সাত্তার মোল্লার ‘বখাটে’ ছেলে লুৎফর রহমান মোবাইল ফোনে নিজেকে ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে পাকুড়তিয়া গ্রামের আলতাফ হোসেন মোল্লার মেয়ে কুলসুমকে বিয়ে করে।
বিয়ের পর কুলসুম জানতে পারেন তার স্বামী ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি ও প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। আগেও এভাবে একাধিক বিয়ে করেছে সে। এ কারণে কুলসুম স্বামীকে তালাক দেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে লুৎফর পেট্রোল ঢেলে তাদের গায়ে আগুন দেয়।
বিয়ের আগে খাদিজা আকতার কুলসুম টুঙ্গিপাড়ার বাঁশবাড়িয়া মাদ্রসার ১০ম শ্রেণিতে পড়তেন। তার সহোদরা স্বর্ণা পড়ত পাকুড়তিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণিতে এবং চাচাত বোন সাথী পড়ে বাঁশবাড়িয়া ঝনঝনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে।
কুলসুমের বাবা আলতাফ হোসেন অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাতে কুলসুম বোন স্বার্ণা ও সাথীকে নিয়ে ঘুমিয়েছিলেন। রাত ২টার দিকে লুৎফর তাদের বাড়ি গিয়ে কুলসুমের ঘরে ঢুকে তাদের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়।
তাদের উদ্ধার করে প্রথামে টুঙ্গিপাড়া ও পরে গোপলগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার ঢাকা নেয়ার পথে কুলসুম ও স্বর্ণার মৃত্যু হয়।
লুৎফর পেট্রোল ঢেলে তাদের গায়ে আগুন দিয়েছে বলে কুলসুম মৃত্যুর আগে তারা বাবাকে জানিয়েছেন, বলেন আলতাফ হোসেন।
টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় লুৎফর রহমানকে আসামি করে একটি মমলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করেছে।