অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার দাবি ব্যবসায়ীদের

Businessman বাবসায়ীরিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বৃহত্তর অর্থনৈতিক স্বার্থে পরিকল্পিত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা।

রোববার রাজধানীর মতিঝিলে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তারা এ দাবি জানান।

ব্যাংকিং খাতকে আরও শক্তিশালী করা ও ব্যাংক সুদ কমিয়ে আনা, বিসিক ও সরকারি শিল্প এলাকার খালি জায়গায় শিল্প-কারখানার জন্য বরাদ্দ দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি রোকেয়া আফজাল রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ও এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, এ কে আজাদ, আব্দুস সালাম মুর্শেদীসহ দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বলেন, শিল্পায়নের মূল চাবিকাঠি হলো অবকাঠামো উন্নয়ন, অবকাঠামো তৈরি এবং এর ক্রমাগত মানোন্নয়ন। বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা ও শিল্পাঞ্চল স্থাপনের প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। ইপিজেডগুলোতে শিল্পায়নের সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহারে সহায়তা ও উৎসাহদান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে স্বল্পোন্নত এলাকায় অবকাঠামো নির্মাণ এবং রাজস্ব ও আর্থিক সহায়তা প্রদানে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। চামড়া শিল্পসহ ইন্ডাস্ট্রি স্থাপনে সিইটিপি স্থাপনও জরুরি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এফবিসিসিআইর সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন বলেন, আমরা সকলে এক সঙ্গে কাজ করতে পারি। রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভালো থাকলে ব্যবসায়ীরা শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা করতে পারবেন। অপরিকল্পিতভাবে ইন্ডাস্ট্রি গড়ে ওঠায় আগামী ১০ বছর পর আমাদের কৃষি জমি শেষ হয়ে যাবে। কাজেই পরিকল্পিতভাবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক করতে হবে। এ লক্ষ্যে বিসিকের জমিগুলোর সঠিক ব্যবহার করতে হবে। বিসিকে পুরোনো প্লটধারী যারা এখনও শিল্প স্থাপন করেননি প্রয়োজনে তাদের বরাদ্দ বাতিল করে প্রকৃত উদ্যোক্তাদের বরাদ্দ দিতে হবে।

এ কে আজাদ বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সব বাণিজ্যিক ব্যাংক ডিফলডার হয়ে গেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক পরিবেশ ভালো থাকার পরও বিদেশি বিনিয়োগ আসছে না। বিদেশিদের কাছে আমাদের বার্তা দিতে হবে যে, আমাদের এখানে স্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এছাড়া দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির যেসব সমস্যা আছে তা কাটিয়ে উঠতে পারলে ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করতে উৎসাহ বোধ করবে।

আব্দুস সালাম মোর্শেদী বলেন, ব্যাংকিং খাত শক্তিশালী হলে দেশের অর্থনীতিও শক্তিশালী হয়। বর্তমানে আমাদের এখানে সে ধরনের পরিস্থিতি নেই। গত অর্থ বছরে দু’একটি ব্যাংক ছাড়া কেউ বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড দিতে পারেনি। এছাড়া ব্যাংকের সুদের হারও কমিয়ে আনা জরুরি।

মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম চেম্বারের মাহবুবুর রহমান, এফআইসিসিআই প্রেসিডেন্ট রূপালী চৌধুরী, লেদার সেক্টরের ব্যবসায়ী আবু তাহের খান, হিমায়িত খাদ্য রফতানিকারকদের নেতা আমিন উল্লাহ, জুট স্পিনারস অ্যাসোসিয়েশনের হুমায়ুন কবির, চা শিল্পের লায়লা রহমান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ