বাজেট দিতে শুয়ে পড়েন অর্থমন্ত্রীঃ পরিকল্পনামন্ত্রী
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রতি বিদ্রুপ প্রকাশ করে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল (লোটাস কামাল) বলেছেন, উনার বয়স হয়েছে। ভুল-ভাল বলেন।
সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অশীতিপর অর্থমন্ত্রীর বয়স ও তার দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কামাল।
দুপুর ২টায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তার কক্ষে কয়েকজন সাংবাদিকের উপস্থিতিতে লোটাস কামাল বলেন, “অর্থমন্ত্রী বিশাল বাজেট দেন। বাস্তবায়ন করতে পারেন না। সংসদে বাজেট দিতে গিয়ে তিনি ‘শুয়ে’ পড়েন। ….বাস্তবায়ন করে দেখাতাম।”
চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপি (বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) নিয়ে কিছু দিন ধরে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রীর সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে সংশোধিত এডিপি’র যে বরাদ্দ চাওয়া হচ্ছে অর্থমন্ত্রণালয় থেকে তা দিতে চাচ্ছে না।
এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হচ্ছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “উনি (অর্থমন্ত্রী) কিছুদিন আগে বিশ্ব ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু কই কোন মামলা তো তিনি করলেন না। আপনারাও (প্রতিবেদকরা) কি কোন মামলা করতে দেখেছেন। দেখেননি! উনি তো বিশ্ব ব্যাংকের পেনশন পান। মামলা করবেন কিভাবে।”
সরকারের পিপিপি (সরকারি-বেসরকারি অংশিদারিত্ব) প্রসঙ্গে লোটাস কামাল বলেন, “উনি পিপিপি না কী যেনো একটা বানিয়েছেন। এটা গরু না ছাগল। তা মানুষ জানে না। একটা অফিসও নিতে পারেননি।
“উনি একবার সু-খবর দিলেন। প্রবাসীদের ভোটার করবেন। কিন্তু কোথায় কোন প্রবাসী তো ভোটার হলেন না।”
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “সংশোধিত এডিপি নিয়ে অর্থমন্ত্রী আমাকে একটি চিঠি লিখেছেন। ওই চিঠিতে তিনি আমাকে ‘বাস্তবতা অনুধাবন’ করতে বলেছেন। এটা তিনি পারেন না। আমি তার কলিগ। আমাকে তিনি জ্ঞান দিতে পারেন না।
“তবে এটাও ঠিক যে, উনার বয়স হয়েছে। অনেক ভুল-ভাল বলেন। আমরা মাফ করে দেই,” বলেন লোটাস কামাল।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গত ২০ মার্চ অর্থমন্ত্রী পরিকল্পনামন্ত্রীকে লেখা একটি চিঠিতে রাজস্ব আদায়ে ধীরগতি, এডিপি বাস্তবায়ন পরিস্থিতিসহ সার্বিক ‘বাস্তবতা অনুধাবন’ করে সংশোধিত এডিপি ৫৫ হাজার কোটি টাকা করার অনুরোধ করেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সংশোধিত এডিপি ৬০ হাজার কোটি টাকা করতে অর্থমন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়ে আসছে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে মূল এডিপি’র আকার ছিল ৬৫ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা।
প্রতি বছরই মূল এডিপি কাটছাঁট করে কমানো হয়।