আ.লীগের দখলে খালেদা জিয়ার আসন
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচনী আসন ফেনী-১ (ফুলগাজী-পরশুরাম-ছাগলানাইয়া) এর ছাগলানইয়া উপজেলায় বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী।
সোমবার রাতে ভোট গণনা শেষে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেছেন সহকারী রিটার্নিং অফিসার।
ফলাফলে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মেজাবাউল হায়দার চৌধুরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী নুর আহমদ মজুমদার।
পঞ্চম ও শেষ দফা উপজেলা নির্বাচনে সোমবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই ৪৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩০টির বেশিই দখল করে নেয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা। তারা প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্সভর্তি করে।
দুপুর ১২টার দিকে কেন্দ্র দখল ও ভোট ছিনতাইয়ের অভিযোগে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী নুর আহমদ মজুমদার নির্বাচন বর্জন করেন।
বেলা ১১টার দিকে উপজেলার পাঠাননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোর ৩টায় ছয়শ’ ব্যালট পেপারে সিল মারলে প্রিজাইডিং অফিসার আহমদ হোসেন সেগুলো বাতিল করেন। আনোয়ারা বেগম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র দখল করায় বেলা ১১টায় ওই কেন্দ্র স্থগিত করা হয়।
দক্ষিণ বল্লভপুর হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে যায় সরকার সমর্থকরা। এ কেন্দ্রে ১০টি ব্যালট পেপারে সিল মারা হয়। এসব ঘটনা ছাড়াও বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে দুই প্রধান দলের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছে অন্তত অর্ধশত।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুবর্না সরকার বলেছিলেন তিনি শুধু আইন-শৃঙ্খলা দেখবেন। এর বাইরে আর কিছুই তার জানার কথা নয় বলে জানান।
বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী নুর আহমদ মজুমদার অভিযোগ করেন, ২৮টি কেন্দ্রে ভোট শুরু হওয়ার আগে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে সরকার দলের সমর্থকরা। প্রতিপক্ষ দলের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয় তারা। তিনি আরো বলেন, ‘বিভিন্ন স্থানে শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। মহামায়া ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল বশরকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। চাঁদগাজী কেন্দ্রে আজাদ নামে এক বিএনপি এজেন্টকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে তারা।’