লাল-সবুজে ছেয়ে গেল গোটা মিছিল
হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবিতে ডাকা হরতাল প্রতিহত করতে পতাকা মিছিল করেছে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ। সোমবার বেলা ১১টা ২০ মিনিটে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে এই মিছিল শুরু হয়।
মিছিলটি শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ থেকে শুরু হয়ে হোটেল রূপসী বাংলা হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে কিছু সময় অবস্থান করে। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও প্রেস ব্রিফিংয়ের পর মিছিলটি গণজাগরণ মঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় লাল-সবুজে ছেয়ে যায় গোটা মিছিল।
হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি ও জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের দাবিতে স্লোগান দেন মিছিলকারীরা। তারা ‘লাখো শহীদের বাংলায়, জামায়াতের ঠাঁই নাই’, ‘জামায়াত-শিবির রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’ সহ নানা স্লোগান দেন।
মিছিলে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, গণজাগরণ মঞ্চের নেতারা, বিভিন্ন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী, ব্লগারসহ সর্বস্তরের মানুষ ছিলেন।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থানের সময় ডা. ইমরান এইচ সরকার সাংবাদিকদের বলেন, “হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। এটি আমাদের দেশের নারীদের ঘরে বন্দী করে রাখার ফন্দি। যা কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় না।“
এর আগে হেফাজতে ইসলামীর হরতালের প্রতিবাদে রোববার সন্ধ্যায় শাহবাগ মোড় থেকে লাঠি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি টিএসসি ঘুরে শাহবাগে এসে শেষ হয়। গণজাগরণ মঞ্চের কর্মসূচি না হলেও মঞ্চভুক্ত বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা এতে অংশ নেন।
লাঠি মিছিল থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী এবং জনআকাঙ্ক্ষার বিপরীতে থাকা সোমবারের হরতাল প্রতিহতের ঘোষণা দেওয়া হয়।
৬ এপ্রিল শনিবার রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ থেকে ৮ এপ্রিল (সোমবার) সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয়। শনিবারই শাহবাগে এক সমাবেশে হেফাজতের ডাকা হরতাল প্রতিরোধে সোমবার সারাদেশে পতাকা মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান।
গণজাগরণ মঞ্চের অন্যান্য কর্মসূচি :
৯ এপ্রিল, মঙ্গলবার দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণজাগরণ মঞ্চ ছাত্র ধর্মঘট পালন করবে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সব কার্যক্রম ধর্মঘটের আওতামুক্ত থাকবে।
১০ এপ্রিল, বুধবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে আইন মন্ত্রণালয়ের সামনে গণ-অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ওই দিন দেশের মানুষকে নিজ নিজ জেলার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে দুই ঘণ্টা গণ-অবস্থান করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
১৪ এপ্রিল, পহেলা বৈশাখে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে থাকবে গণজাগরণ মঞ্চের দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিকেল চারটায় হবে মহাসমাবেশ।