বাংলাদেশ উইকেট নিতে পারেনি ১০ ওভারেও
স্পোর্টস ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ টানা তিন ম্যাচ হারার জ্বালা বাংলাদেশকে দুমড়ে মুচড়ে করতে চেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তাই টস জিতে মুশফিক ব্যাটিং নেয়ার পর গ্যালারিতে স্বস্তি,যাক ২৬০-২৮০ আর করা হবে না অস্ট্রেলিয়ার! আত্মবিশ্বাস হারানো বাংলাদেশ ৫ উইকেটে করেছিল ১৫৩। জেতার মত না হলেও স্কোরটা লড়াই করার মত। জবাবে দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ আর ডেভিড ওয়ার্নারের দূর্দান্ত শুরুতে সহজ জয়ের ভিতই পেয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১০ ওভারে কোন উইকেট না হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া করেছে ৮৯ রান। ফিঞ্চ ৩৫ ও ওয়ার্নার ব্যাট করছেন ৪৭ রানে।
টুর্নামেন্ট কিংবা সিরিজের শেষ ম্যাচটা লেজেগোবরে করে ফেলার বদভ্যাস আছে মুশফিকদের। এবারের আসরে নিজেদের সর্বোচ্চ স্কোর করেও বোলারদের ব্যর্থতায় হারের প্রহর গুণছে মুশফিকের দল।
এর আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করা বাংলাদেশ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে শুরুতেই। ১২ রান তুলতেই ফিরে যান তামিম ইকবাল ও এনামুল হক। দুজনই নাথান কোল্টার-নাইলের শিকার। ফেরার আগে তামিম ৫ রান করলেও এনামুল রানের খাতা খুলতে পারেননি। তবে সেটি সামলে ওঠে সাকিব-মুশফিকের ১১২ রানের তৃতীয় উইকেট জুটিতে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যেকোনো দলের এটি তৃতীয় সেরা জুটি। এ ছাড়া বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতেও এটিই বাংলাদেশের সেরা জুটি। এর আগের রেকর্ড ছিল ১০৯ রানের। আফতাব আহমেদ ও মোহম্মদ আশরাফুল ২০০৭ এর আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেছিলেন সেটা।
ব্যাট হাতে গত কয়েক ম্যাচের তুলনায় আজ কিছুটা ভালো করেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। এই টুর্নামেন্টে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর। তবে আজ শেষ কয়েকটি ওভারে বাংলাদেশের রান উঠেছে তুলনামূলক শ্লথগতিতে। শেষ ৫ ওভারে বাংলাদেশ তুলতে পেরেছে মাত্র ৩৭। উল্লিখিত ওভারগুলোয় চার এসেছে মাত্র ৩টি, তবে কোনো ছক্কা নেই।
সাকিব ছুঁয়েছেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ফিফটি। বলিঞ্জারের বলে ফেরার আগে করেছেন ৫২ বলে ৬৬। সাকিবের ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছয়ের মার। এ ছাড়া ৩৬ বলে ৪৭ করে ওয়াটসনের বলে ফিরেছেন মুশফিকুর রহিম। শেষ দিকে ব্যাটসম্যানরা চড়াও হতে না পারায় ৫ উইকেটে ১৫৩ রানেই থামে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ : তামিম, এনামুল, মুশফিক, সাকিব, নাসির, মাহমুদুল্লাহ, রাজ্জাক, সোহাগ, তাসকিন, আল আমিন, মমিনুল।