২৭০ কোটি ডলার অর্থসহায়তার প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকের
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ২৭০ কোটি মার্কিন ডলারের রেকর্ড পরিমাণ অর্থসহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফিলিপ লি হুয়েরু।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করছে। এই প্রকল্পে অর্থায়ন না করলেও বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের অন্যান্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে অর্থসহায়তা দিচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে চলতি অর্থবছরে অর্থসহায়তা ২ দশমিক ৭ বিলিয়নের (২৭০ কোটি ডলার) রেকর্ড হয়েছে। যা অন্যান্য যে কোনো অর্থবছরের তুলনায় বেশি।
এ প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, কোন খাতে কি পরিমাণ অর্থ দেয়া হচ্ছে তা মূখ্য নয়। বরং অর্থসহায়তা কতটুকু কাজে লাগলো তা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বাংলাদেশের কৃষি, সেচব্যবস্থা, চট্টগ্রাম বন্দর উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন ব্যষ্টিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অর্থসহায়তা দিচ্ছি এবং কাজ করছি।
‘আমরা দেশটির উন্নয়ন আরও কাজ করতে চাই। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক বিভিন্ন খাতের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। এজন্য সামনের দিনে এসব খাতেও বিশ্বব্যাংকের অর্থসহায়তা অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে আমরা বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করতে চাই।’
এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় দেশের ১৬ মিলিয়ন মানুষ দারিদ্র্যসীমা থেকে বের হতে পেরেছেন বলেও জানান হুয়েরু। তিনি জানান, ১৯৭২ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ১৭ থেকে ১৮ বিলিয়নের অর্থসহায়তা দিয়েছে।
২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হতে হলে ৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে জানিয়ে বিশ্বব্যাংকের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আমরা এটাকে সমর্থন করি। এর জন্য বাংলাদেশকে পরিবহন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি শক্তি, অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে রপ্তানি অগ্রগতি বেশ উল্লেখযোগ্য। চীনের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। তবে এক্ষেত্রে তৈরি পোশাক শিল্পে নিয়মিত তদারকি, ব্যবস্থাপনা ও নজরদারি আরও বাড়ানোর পস্তাব করেন তিনি।