বিমান বাহিনীর ঘাঁটি ‘বঙ্গবন্ধু’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুর্মিটোলায় বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধু উদ্বোধন করেছেন। আধুনিক যুদ্ধ বিমান এফ-৭বিজি-১ ও নতুন এমআই এসএইচ হেলিকপ্টার অন্তর্ভুক্তিকরণও উদ্বোধন করেন তিনি।
মঙ্গলবার বিমান বাহিনীর নতুন এই ঘাঁটি উদ্বোধন করা হয়। এর মধ্য দিয়ে একটি আধুনিক, পেশাদার, সক্ষম ও সুশৃঙ্খল সশস্ত্র বাহিনী গঠনের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বিমান বাহিনী ঘাঁটি ‘বঙ্গবন্ধু’ একটি আধুনিক, পেশাদার, সক্ষম ও সুশৃঙ্খল সশস্ত্র বাহিনী গঠনে জাতির পিতার লালিত স্বপ্নের বাস্তবায়নে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিমান বাহিনী ঘাঁটি ‘বঙ্গবন্ধু’ স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশের আকাশসীমা এবং জাতীয় স্বার্থরক্ষার ক্ষেত্রে বিমান বাহিনীর কার্যকারিতা ও সক্ষমতা নতুন মাত্রা লাভ করবে।
তিনি বলেন, এ ঘাঁটি বিমান বাহিনীর প্রাণকেন্দ্র যা এতদিন অপ্রতুল অবকাঠামোর মাধ্যমে এবং অন্যান্য ঘাঁটি থেকে জনবল নিয়ে দেশ প্রতিরক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করে আসছে। এখন নতুনভাবে এই ঘাঁটি প্রতিষ্ঠার ফলে অন্যান্য ঘাঁটির ওপর চাপ কমবে।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বিমান বাহিনীতে নতুন সংযোজিত আধুনিক যুদ্ধ বিমান এফ-৭বিজি-১ ও নতুন এমআই এসএইচ হেলিকপ্টার অন্তুর্ভুক্তিকরণও উদ্বোধন করেন।
এরপর বিমান বাহিনীর বিভিন্ন এয়ারক্রাফটের বর্ণাঢ্য ফ্লাই-পাস্ট ও নতুন অন্তর্ভুক্ত এয়ারক্রাপ্টের এ্যারোবেটিক শো’র আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী এই প্রদর্শনী প্রত্যক্ষ ও অভিবাদন গ্রহণ করেন।
এরআগে তিনি বঙ্গবন্ধু ঘাঁটিতে পৌঁছলে বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল মোহাম্মাদ এনামুল বারি ও নতুন এ ঘাঁটির এয়ার অফিসার কমান্ডিং কমোডর এহসানুল গণি চৌধুরী তাকে অভ্যর্থনা জানান।
মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবর্গ, চীনের রাষ্ট্রদূত, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান ও নৌবাহিনী প্রধান এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পরিচালন ক্ষমতা ও পেশাগত দক্ষতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, তার সরকার সম্পদের সীমাবদ্ধতার মধ্যেও যতটুকু সহায়তা দেয়া সম্ভব এব্যাপারে কোনো কার্পণ্য করবে না।