পাকিস্তানকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
স্পোর্টস ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বিশ্ব টি-টোয়েন্টির ফরম্যাটে কোয়ার্টার ফাইনাল নেই। তারপরও পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজের আজকের ম্যাচটা ছিল অলিখিত কোয়ার্টার ফাইনাল। হারলেই বাড়ি ফেরার টিকিট আর জিতলে সেমিফাইনালের স্বর্ণদুয়ার। পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে সেই স্বর্ণদুয়ার পেরিয়ে সেমিফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরাই। পাকিস্তানকে ড্যারেন সামির দল হারাল ৮৪ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৬৬ রানের পাহাড়ে চাপা পড়ে পাকিস্তান অলআউট হয় ৮২ রানে।
এর আগে তিনবার মুখোমুখি হলেও বিশ্ব টি টোয়েন্টিতে এই দুদলের প্রথম দেখা হলো আজই। প্রথম দেখাটা স্মরনীয় করে রাখল ওয়েস্ট ইন্ডিজই। এই গ্রুপ থেকে টানা চার ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েই সেমিফাইনালে পৌঁছেছে ভারত। শেষ চারে তাদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। আজ পাকিস্তানকে হারিয়ে অন্য সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বাঁচা মরার ম্যাচটিতে শুরুতে চাপে থাকলেও শেষ ৫ ওভারে ড্যারেন সামি ও ডোয়াইন ব্রাভোর ঝড়ো ব্যাটিংয় স্কোরটা ১৬৬ ‘তে পৌঁছে ক্যারিবিয়ানদের। এই ৫ ওভারে তারা তোলে ৮২ রান। স্যামুয়েল বদ্রির মায়াবি ঘূর্নিতে এই রান পাহাড়ে চাপা পড়ে পাকিস্তান। ১৩ রান তুলতেই চার উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে তারা। প্রথম বলেই আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আহমেদ শেহজাদকে (০) এলবিডাব্লিউ করেন সান্তোকি। স্যামুয়েল বদ্রির করা পরের ওভারে ব্রাভোকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন অপর ওপেনার কামরান আকমলও (০)। সেই বদ্রির বলেই ২ রান করে স্টাম্পিং হন উমর আকমল। বদ্রির বলে ১ রান করে স্টাম্পিং হয়েছেন শোয়েব মালিকও। ৪ ওভারে ১০ রানে বদ্রি নেন ৩ উইকেট। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা পাকিস্তান মিরপুরের স্লো উইকেটে পৌঁছতে পারে ১৭.৫ ওভারে ৮২ পর্যন্ত। ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন সুনিল নারিনও। মোহাম্মদ হাফিজ ১৯,আফ্রিদি ১৮ ও শোয়েব মাকসুদ করেন ১৮ রান।
শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি ক্যারিবিয়ানদের। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে হারাতে হয়েছিল দুই ওপেনারকে। তৃতীয় ওভারেই ফিরেছেন ভয়ংকর ক্রিস গেইল। ৪ বলে ৫ রান করে মোহাম্মদ হাফিজের বলে স্টাম্পিং হয়েছেন এই বিগ হিটার। অন্য ওপেনার স্মিথ ৮ করে সোহেল তানভিরের বলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে কামরান আকমলকে। এরপর সিমন্স ও স্যামুয়েলস তৃতীয় উইকেটে ৩৯ রানের জুটি গড়ে কাটিয়েছিলেন ধাক্কাটা। পরপর দুই ওভারে দুজন ফেরায় চাপে পড়ে ক্যারিবিয়ানরা। সিমন্স ২৮ বলে ৩১ করে হন রানআউট। একই ওভারে ১৮ বলে ২০ করা স্যামুয়েলসকে বোল্ড করেন শহীদ আফ্রিদি। জুলফিকার বাবরের বলে ৫ রান করে কিছুক্ষণ পর ফিরেন দিনেশ রামদিনও। এরপর ষষ্ঠ উইকেটে ড্যারেন সামি ও ডোয়াইন ব্রাভোর দৃঢ়তায় চাপটা কাটিয়ে ওঠে তারা।
১৫ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ করেছিল ৫ উইকেটে ৮৪। ১৮ ওভার শেষে স্কোরটা পৌঁছে ১২৮-এ। উমর গুলের করা ১৮তম ওভারেই ২১ রান নেন ব্রাভো ও সামি। আজমলের করা ১৯তম ওভারে আসে ২৪ রান! সোহেল তানভিরের করা শেষ ওভারের প্রথম বলে রান আউট হয়ে যান ২৬ বলে ২ বাউন্ডারি ৪ ছক্কায় ৪৬ করা ব্রাভো। সামি অপরাজিত থাকেন ২০ বলে ৫ বাউন্ডারি ২ ছক্কায় ৪২ রানে।