গরমে প্রস্তুতি নিন

hot summerলাইফস্টাইল ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বৈশাখ শুরু না হলেও ষড়ঋতুর পালাবদলে এসে গেছে গরমের দিন। রোদের তীব্রতায় এখন চারপাশে ভ্যাপসা গরম। এ রোদে নিজেকে সজীব সতেজ আর সুস্থ রাখার জন্য অবশ্যই কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এই গরমে ফ্রেশ থাকার কিছু কৌশল বা উপায় জেনে নেওয়া যাক।

গরমের দিনের উত্তাপ আমাদের নাজুক ত্বকে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। এ সময় ঘামের কারণে শরীরে দুর্গন্ধ দেখা দেয়। ত্বকে রোগজীবাণু সংক্রমিত হয়ে নানা ধরনের চর্মরোগ সৃষ্টি হয়। এসব কারণেই গরমের দিনগুলোতে সবার আগে জোর দিতে হবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি। প্রতিদিন খেয়াল রাখতে হবে গায়ে ঘাম-ধুলো-ময়লা যেন না জমে। গরমে বেশ আরাম দেয় গোসল। গরমকালে তরতাজা হওয়ার জন্য এক বালতি পানিতে গোসলের খানিকক্ষণ আগে একটু পুদিনাপাতা ছেড়ে দিতে পারেন।

গরমকালে শরীরের বিভিন্ন খাঁজে হালকা পাউডার ছড়িয়ে দেবেন। এসময় একটু চন্দনগুঁড়া শরীরের বিভিন্নস্থানে মেখে নিতে পারেন। পাউডারের সাথে চন্দন গুঁড়া মিশিয়েও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মেখে নিতে পারেন, তবে পাউডার যেন কোথাও বেশি না পড়ে। তাহলে রোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে অন্যভাবে ক্ষতি হতে পারে। গোসলের পর সারা শরীরে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন।

গরমে দরকার একটু আধটু শরীরচর্চা। রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে আধা ঘণ্টা ব্যায়াম, সাইক্লিং, সুইমিং বা স্কিপিং করতে পারেন। এতে শরীরের ক্লান্তি কিছুটা দূর হবে। আর ব্যায়াম শেষে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চামচ মধুর সাথে কয়েক ফোঁটা পাতি লেবুর রস মিশিয়ে খেতে হবে।

ত্বকের জন্য বেশ যত্নবান হতে হবে এ গরমে। গরমে মুখের কালো দাগ তুলতে পেঁপের রস, তরমুজের রস ও মুলার রস এক সঙ্গে মিশিয়ে লাগান। এটি দাগ হালকা করতে সাহায্য করবে। চোখে মুখে ক্লান্তির ছাপ দূর করতে শশার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিয়ে বরফ ঠান্ডা অবস্থায় তা লাগাতে হবে। এতে করে নিমিষেই মুখ থেকে ক্লান্তির ছাপ উধাও হবে।

গরমের দিনে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাধারণ ঘামাচি, সর্দিজ্বর থেকে শুরু করে ইনফ্লুয়েঞ্জা, জলবসন্ত, ডায়েরিয়া, জন্ডিস, সাইনাসে প্রদাহ, টনসিলে প্রদাহ, কানের নানাবিধ সমস্যাসহ হিট স্ট্রোক, হার্ট এ্যাটাক পর্যন্ত হতে পারে। গরমের দিনগুলোতে সুস্থ থাকার জন্য আপনাকে অবশ্যই বাড়তি সতর্কতা গ্রহণ করতে হবে।

প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। গরমে পানি শূন্যতা দূর করতে ঠান্ডা শরবত, তরমুজ, শশা, ফুটি খেতে চেষ্টা করুন। পিপাসা লাগা পর্যন্ত অপেক্ষার প্রয়োজন নেই। যে সব পানিতে ক্যাফেইন, অ্যালকোহল এবং সুগার আছে তা পরিহার করুন। এসব পান করলে সহসাই দেখা দিতে পারে পানিশূন্যতা। খুব বেশি ঠান্ডা পানি কিংবা আইসক্রিম খাওয়াও উচিত নয়। চেষ্টা করবেন বিশ্রাম নিয়ে কাজ করতে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ