শপথে বাধা দেওয়ার জন্য সাজানো মামলা

Salah Uddin সালাহ উদ্দিনসিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বিরোধী দল থেকে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের অনেকের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা দেওয়া হচ্ছে, যাতে করে তারা শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে না পারে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি নেতা কর্মীদেরকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘মৃত্যুকে আলিঙ্গণ করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্র ও মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষায় বর্তমান অবৈধ জুলুমবাজ সরকারকে উৎখাতে আন্দোলন সংগ্রাম চালিযে যেতে হবে।’

আওয়ামী বাকশালীদের ক্ষমতার শেষ বসন্ত উৎযাপিত হচ্ছে বলে এসময় মন্তব্য করেন তিনি।

সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ নামের এই জনপদ থেকে জনগণের গণতন্ত্র ও নির্বাচনের নির্বাসন প্রক্রিয়া সমাপ্ত প্রায়। নির্বাচন কমিশন গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার দাফন সম্পন্ন করেছে। ’

আওয়ামী নেতা ওবায়াদুল কাদেরের বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তৃপ্তির ঢেকুর তুলে বলেছেন-অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। তার কথা সত্যি। ১৯৭৩ সালের নির্বাচন এবং ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের তুলনায় এই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়ে থাকতে পারে। ’

তিনি বলেন, ‘ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ তাদের সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেছে, শতকরা ৫৩ ভাগ জালভোট প্রদান করা হয়েছে এই নির্বাচনে। দেশিয়, আন্তর্জাতিক সমাজ, নির্বাচন পর্যবেক্ষক মহল এবং গণমাধ্যম এর মন্তব্য হচ্ছে এই নির্বাচন কোনো নির্বাচনই ছিল না।’

বিএনপির এ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘ভোট ডাকাতি এবং মানুষের মৌলিক অধিকার হরণের মাধ্যমে বর্তমান অবৈধ সরকার সন্দেহাতীতভাবে দেশে একদলীয় শাসন বাকশালের দিকেই ক্রমশ ধাবিত হচ্ছে। গত ৫ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারীদের মনোবাসনা পূরণে নির্বাচন কমিশন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও অত্যন্ত আজ্ঞাবহ ক্রীতদাসের ভূমিকা পালন করেছে। এখানে সরকার কিংবা নির্বাচন কমিশনের কাছে জনগণ, বিরোধী রাজনৈতিক দল, বিশিষ্ট নাগরিক সমাজ এবং বিজ্ঞ কারো মতামত বা সমালোচনা বিবেচ্য বিষয় নয়।’

তিনি বলেন, ‘একটি অমানবিক, নিষ্ঠুর, হিংসাশ্রয়ী, গণতন্ত্র বিনাশী এবং অন্ধ অহংকারের স্বৈরাচারি সরকারকে উৎখাতে এই আন্দোলন। এই আন্দোলন গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক অধিকার সমুন্নত রাখার আন্দোলন। আমরা আশাবাদী, এদেশের মুক্তিকামী জনগণ ধৈর্য, সংযম, এবং শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে গণআন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতালোভীদের চিরকাল ক্ষমতাভোগের দিবাস্বপ্নকে চুরমার করে দিবে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সহদফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহিন, নিবার্হী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার প্রমুখ।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ