পদ্মা সেতু তৈরিতে রিজার্ভ থেকে সহায়তা করা হবে
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে এক হাজার ৯৫০ কোটি মার্কিন ডলার। এ রিজার্ভ থেকে পদ্মা সেতুর তৈরি প্রকল্পে সহায়তা করা হবে।
শনিবার খুলনায় স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্স-২০১৪ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আতিউর রহমান বলেন, খুলনা খুবই সম্ভাবনার শহর। শুধু ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে এখানে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হচ্ছে না। এ কারণে এখানকার উন্নয়নে পদ্মা সেতু খুবই দরকার। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকে ১৯ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা মজুদ আছে। এ রিজার্ভ দিয়ে আমরা পদ্মা সেতুর জন্য কাজ করবো। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কয়েকবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। খুব শিগ্রই এ সেতুর কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, এ সেতুর কাজ সম্পন্ন হলে খুলনার দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে। যাতায়াত ব্যবস্থার সুব্যবস্থার জন্য বিদেশী বিনিয়োগ বাড়বে এবং খুলনা আবার শিল্পাঞ্চল নগরী হসেবে গড়ে উঠবে। তিনি এ এলাকায় ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগে করতে উৎসাহিত করার জন্য ব্যাংকারদের আহবান জানান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বলেন, বর্তমানে স্কুল ব্যাংকিংয়ে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে। এ কারণে ব্যাংকগুলোকে স্কুল ভাগ করে নিয়ে বিভিন্ন স্কুলে প্রচারণা চালানোর আহবান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, এ হিসাব খোলার ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সঞ্চয়ের প্রবণতা গড়ে উঠছে। যাদের হিসাব আছে তারা বেহিসাবি খরচ না করে টাকা জমা করছে। এ জমানো টাকা দিয়ে ভবিষ্যতে তারা উচ্চ শিক্ষার কাজে লাগতে পারবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান বলেন, যারা দেশের শিল্পায়নে সহায়তা করে তারা দেশের বন্ধু। আর যারা হরতাল ডেকে এ উন্নয়নের ধারাকে বাঁধাগ্রস্থ করে তারা হলো দেশের শত্রু। তাই দেশের শিক্ষর্থীদের মধ্যে এখনই হরতাল বিরোধী চেতনা গড়ে তুলতে হবে বলে তিনি জানান। আর এ জন্য তিনি অভিভাবকদের পাশাপাশি সচেতন নাগরিকদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের খুলনা শাখার নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুর রহিম, রূপালী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক দেবাশীষ চক্রবর্ত্তী, ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।