ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবন !
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, যশোরঃ মণিরামপুরে অর্ধশতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন বছরের পর বছর পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকলেও নির্মিত হচ্ছে না নতুন ভবন। এসব জরাজীর্ণ ও ঝুঁকপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান।
জানা গেছে, মনিরামপুর উপজেলায় ২শ ৬২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠান জরাজীর্ণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ।ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে মোল্লাডাঙ্গা, চাঁদপুর-মাঝিয়ালী, খাজুরা-কাঁঠালতলা, সুবলকাটি, কপালিয়া, বাঙ্গালীপুর, শিরালী-মদনপুর, বাঁধাঘাট, বাকোশপোল, তাঁজপুর, হানুয়ার-কোমলপুর, ষোলখাদা, পাঁচাকড়ি, রাজগঞ্জ ও মণিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো এতই জরাজীর্ণ যে, শুধু শিক্ষার্থীই নয়, যে কোনো মানুষই শ্রেণীকক্ষে ঢুকতে রীতিমত ভয় পান। এর মধ্যে অন্তত ২৫টি বিদ্যালয় ভবন বছরের পর বছর ধরে পরিত্যক্ত হলেও আজ অবধি সেখানে নতুন ভবন নির্মিত হয়নি।
মোল্লাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আহম্মদ আলী বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানটি জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় কখনও বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের গাছতলায় কখনও পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি।’
খাজুরা কাঁঠালতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিপ্রা দাশ বলেন, ‘কয়েক মাস ধরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করে যোগাযোগ অব্যাহত রেখে চলেছি।’
মণিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অরুণ কুমার নন্দন বলেন, ‘সব নিয়ম-কানুন মেনেই কয়েক বছর আগে এ প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন ভবন নির্মাণের আবেদন করা হলেও আজ পর্যন্ত এখানে নতুন ভবন না হওয়ায় স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া দুরুহ হয়ে পড়েছে।’
উপজেলার বাঁধাঘাট সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল আজিজ বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে নতুন ভবনের জন্য আবেদন করা হলেও আজও তা আলোর মুখ দেখেনি।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ আব্দুর রব বলেন, ‘এ উপজেলার প্রায় অর্ধ শতাধিক প্রতিষ্ঠানের ভবন জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ২৫টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। যা যথাযথ মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।’