এবার বেসিক ব্যাংক থেকে ৩৩৮কোটি টাকা উধাও
মনির হোসেন মিন্টু, সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বেসিক ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ভুয়া পাঁচ প্রতিষ্ঠানের নামে ৩৩৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে জনৈক জুয়েল নামের এক ব্যক্তি।ভুয়া ওই প্রতিষ্ঠানেগগুলোর ঋণের টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভবনা অনিশ্চিত বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রে জানা যায়, বেসিক ব্যাংকের গুলশান শাখায় থেকে এসএম সুহী শিপিং লাইনের নামে ৪৫ কোটি টাকা, শিপান শিপিং লাইনের নামে ৫০ কোটি টাকা, এসএফজি শিপিং লাইনের নামে ৭৫ কোটি টাকাসহ পাঁচটি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে মোট ৩৩৮ কোটি টাকা ঋণ নেয়।এই সব প্রতিষ্ঠানের কোনো অস্তিত্ব নেই বলে অভিযোগ রয়েছে।যার কারণে টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু কাগজে কলমের ছাড়া এ সব প্রতিষ্ঠানের কোনো অস্তিত নেই। অধিকাংশ ঋণই বিতরণ হয়েছে বিভিন্ন নাম-প্যাড সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে। ঋণ নেয়ার আগে প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি (ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুারো) নেতিবাচক প্রতিবেদন দেয়। তারপরও ব্যাংকটির প্রধান শাখার নির্দেশে এসব প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয় বেসিক ব্যাংকের গুলশান শখা।
এর আগে বেসিক ব্যাংক সম্পর্কে অভিযোগ রয়েছে, ব্যাংকের পরিচালক আনোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গীর আকন্দ সেলিম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফকরুল ইসলামসহ বিশাল সিন্ডিকেট ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম করে। যার অধিকাংশ ঋণই বিতরণ হয়েছে বিভিন্ন নাম-সর্বস্ব আর অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে। ওইসব প্রতিষ্ঠানের নামে নেয়া ঋণের বেশিরভাগ অর্থই পাচার হয়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
অনিয়মতান্ত্রিক ঋণ প্রসঙ্গে বেসিক ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ব্যাংকের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, বেসিক ব্যাংক কোনোভাবেই অনৈতিক ভাবে ঋণ বিতরণের সঙ্গে জড়িত নন। ব্যাংকিং নিয়মনীতি মেনেই বেসিক ব্যাংক সব ঋণ দিয়ে থাকে।