দুদক ব্যর্থ অদক্ষতা ও অস্বচ্ছতার কারণে: আইনমন্ত্রী
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, কর্মকর্তাদের অদক্ষতা ও অনুসন্ধানে অস্বচ্ছতার কারণেই আসল ঘটনা প্রমাণ করতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ব্যর্থ হচ্ছে।
রোববার দুপুরে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুদক কর্মকর্তাদের আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, দুদকের ব্যর্থতা আইনের জন্য নয়। অনুসন্ধান ও তদন্তের মধ্যে যদি স্বচ্ছতা থাকে তাহলে দুদক আইনের মধ্যে থেকেই আসল ঘটনা প্রমাণ করা সম্ভব হবে। আর এর অভাবেই কিছু মামলা প্রমাণের ক্ষেত্রে ব্যর্থ হচ্ছে দুদক।
মন্ত্রী আরও বলেন, দুদকের কর্মকর্তারা হচ্ছেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং এর আসল লোক। আইনের মধ্যে থেকে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করলে ব্যর্থ হওয়ার কথা নয়। তাই দুদক কর্মকর্তাদের আরও দক্ষ করতেই এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
দুদক আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুদক আইন আদালতের মাধ্যমে পরিশুদ্ধ হয়ে একটি আদর্শ আইনে পরিণত হয়েছে। যে কেউ আইনের মধ্যে থেকে অনুসন্ধান ও তদন্ত করলে কোন ফাঁক ফোকর থাকার কথা নয়।
দুদক চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বলেন, দুদক মামলা পরিচালনায় ৩০ ভাগ সফল হয়নি। অধিকাংশ মামলায় অভিযুক্তরা খালাস হয়ে যায়। তাই দুদক কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়াতেই আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আইন কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক বলেন, দুর্নীতি পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয়। কিন্তু এমন পরিস্থিতি করা দরকার যাতে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
তিনি আরও বলেন, বারবার আইন পরিবর্তন করলে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। দেশে ১৫ হাজার আইন রয়েছে। এমন আইনও রয়েছে যা একটি অপরটির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই একটি আইনের কোনো অংশ সংশোধন করলে অন্তত ৫০ জায়গায় সংশোধন করতে হয়। তাই আইন পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
দুদক আয়োজিত আইন বিষয়ে পাঁচদিন ব্যাপী এই কর্মশালায় পর্যায়ক্রমে ২৪০ কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেছেন। যেখানে ৮ ভাগে ৩০ জনকে অনুসন্ধান ও তদন্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। হাইকোর্টের বিচারপতিরা এই প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।