সাড়ে ২৭ কেজি সোনা উদ্ধার, ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, কক্সবাজারঃ জেলার চকোরিয়া পৌর এলাকার এক মহাজনের বাড়ি থেকে সাড়ে ২৭ কেজি সোনা ও সাড়ে সাতশ গ্রাম রোপার অলঙ্কার উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় নগদ সাড়ে ১১ লাখ টাকাসহ বাবা ও দুই ছেলেকে আটক করা হয়।
এদিকে আটক স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মুক্তির দাবিতে তাৎক্ষণিক চকোরিয়া জুয়েলারি সমিতি অনির্দিষ্ট কালের ধর্মঘট পালন করছে।
সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কক্সবাজারের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোজাম্মেল হক রাসেল এর নেতৃত্বে ১৭ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এ অভিযান চালায়। উদ্ধার করা সোনার অলঙ্কারগুলো চকোরিয়া থানা হেফাজতে রয়েছে।
এ দিকে উদ্ধার করা সোনা ও আটকদের ছবি তুলতে গিয়ে বিজিবির হাতে নাজেহাল হয়েছেন কয়েকজন সাংবাদিক।
কক্সবাজার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোজাম্মেল হক রাসেল জানান, কক্সবাজার ১৭ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে চকোরিয়া পৌর এলাকার ৪ নং ওয়ার্ডের হিন্দুপাড়ার কালা বাঁশির ছেলে নন্দরাম ধর মহাজনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এসময় বাড়ির ভিতর লকারে থাকা ৮ বস্তা সোনা ও রোপার অলঙ্কার উদ্ধার করা হয়।
এ সময় নগদ ১১ লাখ ৪৫ হাজার ৯৫২ টাকাসহ নন্দরাম ধর ও তার দুই ছেলে পলাশ ধর ও সুমন ধরকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা অলঙ্কারগুলো সকালে চকরিয়া থানায় জমা দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।
কক্সবাজার ১৭ বিজিবি কমান্ডিং অফিসার লে. কর্ণে. খন্দকার সাইফুল আলম ও চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফরহাদ জানান, উদ্ধার করা সোনার অলঙ্কারগুলো সকাল ১০টায় পরিমাপ শেষ হয়।
তারা আরও জানান, উদ্ধার করার পর ৮ বস্তা ২ মণ অনুমান করা হলেও পরিমাপের পর অলংকারের মধ্যে ২৭ কেজি ৬শ ৫৪ গ্রাম সোনার ও ৭শ কেজি ৪২ গ্রাম রোপার অলঙ্কার, নগদ ১১ লাখ ৪৫ হাজার ৯৫২ টাকা রয়েছে।
আটককৃতরা জানান, নন্দরাম ধর একজন সোনা ব্যবসায়ী। বড় মহাজন হিসেবে বিভিন্ন জুয়েলার্সের মালিকরা তার কাছে অলঙ্কার বন্ধক রেখে টাকা নিয়ে যেতো। আটক করা সোনাগুলো বিভিন্ন ব্যক্তি ও পরিবারের এবং ব্যবসায়ীদের বন্ধকী বলে দাবি করেন তারা।
এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন চকোরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফরহাদ।
এদিকে, সকালে চকোরিয়া থানা চত্বরে উদ্ধার করা সোনা ও আটককৃতদের ছবি তুলতে গেলে বিজিবির হাতে নাজেহাল হয়েছেন চকোরিয়া প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক ও আমাদের সময় প্রতিনিধি ছোটন কান্তি নাথসহ কয়েকজন সংবাদ কর্মী। এসময় বিজিবি সদস্যরা তাদের ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে মেমোরি কার্ড থেকে ছবিগুলো মুছে দিয়েছে বলে জানান সাংবাদিক ছোটন কান্তি । এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক সমাজে মিশ্র প্রতিক্রিয়া চলছে।