আমদানি-রপ্তানি বন্ধ বেনাপোল বন্দর দিয়ে
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ সোমবার সকাল থেকে বাংলাদেশের বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। পণ্যবাহী ট্রাকসহ ‘নিখোঁজ’ চালক ও তার সহকারীর সন্ধানের দাবিতে বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ট্রাক শ্রমিকরা।
বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার সুপার সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পেট্রাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানিয়েছেন, গত ১১ মার্চ ভারত থেকে এসিডের একটি রপ্তানি পণ্য চালান নিয়ে ভারতীয় একটি ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। পণ্য খালাসের পর ট্রাকসহ চালক ও সহকারী এখনো ফেরত আসেননি। বিষয়টি বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানালেও ট্রাকসহ তাদের কোনো সন্ধান দিতে পারেননি তারা। তাই সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ঘটনার ২৬ দিন পেরিয়ে গেলেও এ বিষয়ে কোনো ফল হয়নি- উল্লেখ করে ভারতের ২৪ পরগণা জেলার বনগাঁ মহাকুমা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের (আইএনটিইউসি) সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ সাহা বলেন, ট্রাকসহ চালককে ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য এই বন্দরের কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
অবশ্য অভিযোগ কতটুকু সত্য তা প্রশাসনের খতিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করছেন বেনাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী কাজী শাহজাহান সবুজ।
তিনি জানান, বাংলাদেশে ট্রাকের দাম বেশি। তাই ভারতের এক শ্রেণির ট্রাক মালিক ও চালকরা বেনাপোল বন্দরে পণ্য নিয়ে আসার পর তা খালাস করে নির্দিষ্ট চুক্তিতে অবৈধভাবে ট্রাক এপারের পাচারকারীদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে। পরে বেনাপোল বন্দর ও কাস্টমসের ঝামেলা এড়াতে তারা ওপারে ফিরে গিয়ে ট্রাক চুরির অভিযোগ দিয়ে থাকে। এর আগে বেনাপোল বন্দর এলাকা থেকে এভাবে বিক্রি করা অনেকগুলো ট্রাক আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি।
এ বিষয়ে ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও শ্রমিক সংগঠন বেনাপোল কর্তৃপক্ষকে লিখিত কোন অভিযোগ করেনি বলে জানিয়েছেন বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) আনোয়ার হোসেন মল্লিক।