পাকিস্থানিদের হাতে স্বেচ্ছায় বন্দী হয়েছিলেন মুজিব
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘শেখ মুজিব গ্রেট, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো দেশের জনগন যখন স্বাধীনতার জন্য ছুঁটছেন তখন তাদের লাগাম তিনি টেনে ধরতে পারেননি। তিনি তখন স্বেচ্ছায় পাকিস্থানিদের হাতে বন্দী হয়েছিলেন।’
সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতা ও আজকের বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হলো প্রতিটি নাগরিকের স্বাধীনতা, সুবিচার। কিন্ত বাংলাদেশের কোনো নাগরিক সুবিচার পাচ্ছে না। তাহলে আমরা কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলি।’
তিনি বলেন, ‘৭ মার্চ ভাষণকে অনেকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা। কিন্ত শেখ মুজিবুর রহমান ও পাকিস্থানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে আলোচনা করলেন কেন? সেদিনের আলোচনা মূল উদ্যেশ্য ছিল জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা দেওয়া। তাহলে ৭ মার্চ ভাষণ কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের ভাষণ হয়।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বিচারকদের উদ্যেশে বলেন, ‘আমাদের দেশের বিচারকগণও স্বাধীন নয়। তারা মোবাইল ফোনের নির্দেশে রায় দিয়ে থাকেন।’
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন, আমি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে বলছি। আর আওয়ামী লীগ সেই বক্তব্য পরিবর্তন করে প্রকাশ করেন, শেখ মুজিবুরের পক্ষ থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ইতিহাস কখনও ভুলে গেলে হবে না। ইতিহাস স্বাক্ষী দেয় বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।’
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, কল্যাণ পার্টির যুগ্ম-মহাসচিব আমিনুল ইসলাম, এলডিপির যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদত হোসেন সেলিম প্রমুখ।