সাংবাদিক এবিএম মূসা আর নেই
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ প্রবীণ সাংবাদিক এবিএম মূসা ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। বুধবার দুপুরে ল্যাবএইড হাসপাতালে মারা যান। তার মেয়ে পারভীন সুলতানা ঝুমা গণমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করেন।
সোমবার রাতে তাকে সেখানে ভর্তি করা হয়।পরে তাকে লাইফসাপোর্টে রাখা হয়। দুই সপ্তাহ আগেও তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
এবিএম মূসা একাধারে একজন সাংবাদিক, সম্পাদক ও কলাম লেখক। তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ক্লাবের আজীবন সদস্য। জাতীয় প্রেসক্লাবের চারবার সভাপতি ও তিনবার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হন।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
একুশে পদক পাওয়া এবিএম মূসার সাংবাদিকতায় বর্ণময় অভিজ্ঞতা রয়েছে, এ পেশায় তিনি সক্রিয়ভাবে জড়িত থেকেছেন প্রায় ৬০ বছর ধরে।
১৯৩১ সালে ফেনীতে জন্ম নেয়া মূসা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
মাত্র ১৯ বছর বয়সে দৈনিক ইনসাফের মাধ্যমে সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি হয় মূসার। এরপর যোগ দেন পাকিস্তান অবজারভারে।
১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্তান অবজারভার বন্ধ হলে সংবাদে যোগ দেন। ১৯৫৪ সালে আবার পাকিস্তান অবজারভারে ফিরে এসে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত প্রথমে প্রতিবেদক ও পরে বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বিবিসি, সানডে টাইমস প্রভৃতি পত্রিকার সংবাদদাতা হিসেবে তিনি কাজ করেছেন। স্বাধীনতার পর বিটিভির মহাব্যবস্থাপক ও মর্নিং নিউজের সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
মূসা ১৯৭৮ সালে ব্যাংককে জাতিসংঘের ইকোনোমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিকের (এসকাপ) পরিচালক পদে যোগ দেন।
১৯৮১ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এবং ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার মহাব্যবস্থাপক ও প্রধান সম্পাদক ছিলেন তিনি।
২০০৪ সালে দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদকের দায়িত্ব নিলেও সেখানে বেশিদিন থাকেননি তিনি।
এরপর কোনো সংবাদ মাধ্যমে সরাসরি সম্পৃক্ত না হলেও বিভিন্ন পত্রিকায় অসংখ্য কলাম লিখে আসছেন এবং টেলিভিশনগুলোতে বিভিন্ন আলোচনায় (টক শো) অংশ নিয়ে আসছিলেন।