মোদী বিয়ের কথা স্বীকার করলেন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা যশোদাবেন এত দিন নরেন্দ্র মোদীকে নিজের স্বামী বলে দাবি করে আসছিলেন। সংবাদমাধ্যমে ছড়ানো এ খবরের বিষয়ে মুখ খুলেন নি জাতীয় নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদে বিজেপির প্রার্থী নরেন্দ্র মোদী। মুখে রীতিমতো কুলুপ এঁটেছিলেন। কিন্তু তা আর কতক্ষণ? পরিস্থিতি আর সময় মিলে ঠিকই তাঁর কণ্ঠ থেকে আদায় করে নিল স্বীকারোক্তি।
একেবারে লিখিতভাবেই মোদি স্বীকার করলেন, হ্যাঁ, যশোদাবেন তাঁর স্ত্রী। গুজরাটের বরোদা আসনে গতকাল মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। সেখানে তিনি স্ত্রীর নামের জায়গায় যশোদাবেনের নাম লেখেন। আজ বৃহস্পতিবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
বর্তমানে ৬৩ বছর বয়সী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) এই নেতা গত চার নির্বাচনে মনোনয়নপত্রে স্ত্রীর নামের জায়গাটি ফাঁকা রাখেন। ২০০১ সালে কংগ্রেস এ বিষয়টি নিয়ে প্রথম চ্যালেঞ্জ করেছিল।
অবশেষে যশোদাবেনকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নেওয়ার বিষয়টিতে নারীদের কাছে মোদীর জনপ্রিয়তা কমবে বলে মনে করছে বিরোধীশিবির। ওই নারীকে বিয়ে করার (ওই সময় তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর) দুই সপ্তাহ পর মোদী তাঁকে ছেড়ে চলে যান।
গত ফেব্রুয়ারিতে এনডিটিভি অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে পশ্চিম গুজরাটের ৬২ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত নারী শিক্ষক যশোদাবেন নিজেকে মোদীর স্ত্রী বলে দাবি করেন। তিনি ওই পত্রিকাকে জানান, ১৭ বছর বয়সে তাঁকে বিয়ে করেন মোদী। বিয়ের তিন বছর পর তাঁকে ছেড়ে চলে যান মোদী। এরপর তাঁদের মধ্যে আর যোগাযোগ হয়নি।
মোদীর গোপন বিয়ে নিয়ে আগেই অভিযোগ ওঠে। ২০০৯ সালে স্কুলশিক্ষক ওই নারীকে আবিষ্কার করে একটি সাময়িকী। তখন তিনি কোনো ধরনের সাক্ষাত্কার দিতে অস্বীকৃতি জানান। একই সঙ্গে জানান, তিনি তাঁর ক্ষমতাশালী স্বামীর ভয়ে ভীত।
শিক্ষকতা থেকে অবসর নেওয়ার পর পশ্চিম গুজরাটের একটি গ্রামে এক ভাইয়ের সঙ্গে নিঃসঙ্গ জীবন কাটাচ্ছেন যশোদাবেন। ১৪ হাজার রুপি করে অবসরভাতা পান তিনি।
এদিকে ‘রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অ্যাক্ট-১৯৫১’ অনুযায়ী প্রত্যেক প্রার্থীকে তাঁর মনোনয়নপত্রে সম্পদের বিবরণী ও স্বামী বা স্ত্রীর নাম দিতে হয়। মোদীর মনোনয়নপত্রে তিনি তাঁর স্ত্রীর আয়, আয়কর ও ব্যক্তিগত হিসাব নম্বর সম্পর্কে জানেন না বলে উল্লেখ করেন।
মোদী নিজের সম্পদ বিবরণীতে জানান, তাঁর নগদ ২৯ হাজার ৭০০ রুপি, ব্যাংকে ৪৪ লাখ রুপি, ২০ হাজার রুপির অবকাঠোমোগত বন্ড, চার লাখ ৩৪ হাজার রুপির জাতীয় সঞ্চয়পত্র রয়েছে। এ ছাড়া তিনি দুই লাখ ৪৭ হাজার রুপি দিয়ে একটি বাড়ি কিনেছিলেন যার বাজারমূল্য বর্তমানে এক কোটি রুপি।