আন্দোলন শেষ এটা বলা যাবে না: মির্জা ফখরুল
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ গণতান্ত্রিক আন্দোলন কখনো উত্থান কখনো পতন থাকে তাই বলে এটা বলা যাবে না আন্দোলন শেষ হয়ে গেছে এবং বিএনপি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আমি হতাশ নই বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আমার দেশ প্রকাশ, মাহমুদুর রহমানের মুক্তি ও বাক-স্বাধীনতা রক্ষার দাবিতে পেশাজীবীদের সমাবেশের আয়োজন করে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ। এতে সভাপতিত্ব করে রুহুল আমিন গাজী।
মির্জা ফখরুল নির্বাচন কমিশনের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, এই নির্বাচন কমিশন শুধু অযোগ্য নয় অর্থব। তাদের কোনো কিছু করার নেই। নির্বাচন কমিশনাররা এমন সব কথা বলেন যাতে তাদের মধ্যে কোনো সৌজন্যতা নেই।দেশে যদি এখন অন্য সময় থাকতো তাহলে তাদের অবস্থা কি হতো এটা বলা কঠিন ছিল।
তিনি বলেন, সরকার প্রশাসন, সংবাদ মাধ্যম ও বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করে ফেলেছে। তারা ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে। মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তারা তা বিশ্বাস করে না। আর এসব কারণে তারা রাষ্ট্রে সব প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করেছে। মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
জেলের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, কাশিমপুর ২নম্বর কারাগারে এখনো ১১৫ জন বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মী রয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য রাজনৈতিক কর্মীরা প্রাণ দিচ্ছে, গ্রেফতার হচ্ছে, জেল খাটছে মামলা হচ্ছে। তাই বলে বিএনপি কখনো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে এটা ঠিক না। এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আমাদের বিজয় হবেই।তাই আন্দোলনে বিজয় হতে হলে আমাদের আরো ত্যাগ শিকার করতে হবে। জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। দেশের বর্তমান যে অবস্থা এই অবস্থার মধ্যে গোটা দেশের মানুষ আন্দোলন করছে। এই আন্দোলন করতে গিয়ে ৩০০র অধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ৬০ জন নেতাকর্মী গুম হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির অংশ না নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যারা সেদিন বলেছেন নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি ভুল করেছে। তারাও এখন বুঝতে পেরেছেন।
ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. পিয়াস করিম বলেন, শুধু মাহমুদুর রহমানই নয় দেশের ১৬ কোটি মানুষ এখন বাংলাদেশ নামক কারাগারে রয়েছে। পাকিস্তানের শোষণ থেকে মুক্ত হয়ে ভারতের ঔপনেবেশিক হওয়ার জন্য দেশ স্বাধীন হয়নি। তিস্তায় পানি নেই, অথচ দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতকে বিদ্যুৎ করিডোরসহ সব ধরনের সুযোগ দেয়া হচ্ছে।
আলোচনায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনাম আহমেদ চৌধুরী, বিশিষ্ট কলামিস্ট ফরহাদ মজাহার, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. জাফর উল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) যুগ্ম-মহাসচিব এম এ আজিজ প্রমুখ।