হারিয়ানার নারীরা যশোদাবনের পাশে

norendra modi নরেন্দ্র মোদিআন্তর্জাতিক ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বিজেপির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নরেন্দ্র মোদি অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক যশোদাবেনকে নিজের স্ত্রী হিসেবে স্বীকার করে নেয়ার পর এই নারীর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন হরিয়ানার নারীরা। মোদিকে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে থাকার পরামর্শ  দিয়েছেন এই নারীরা। গতকাল শুক্রবার এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব হরিয়ানার জিন্দ জেলার বিবিপুর গ্রামের নারীদের এক সভায় অনুমোদন করা হয়।খবর-টাইমস অব ইন্ডিয়া।

প্রস্তাব অনুযায়ী স্ত্রীকে নিজের সঙ্গে রাখার আমন্ত্রণ জানাতে মোদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আহ্বান জানানো হয়েছে।  গ্রামসভায় গৃহীত প্রস্তাবটি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর দাপ্তরিক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মোদির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

মোদির বৈবাহিক অবস্থা-সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ হওয়ার পর বিবিপুরের প্রায় ১০০ জন নারী ওই গ্রামসভায় অংশ নেন। গ্রামসভার নারীরা বলছেন, মোদি যখন পুরো দেশের নারীদের সম্মানের কথা বলছেন, তখন তাঁর উচিত নিজের স্ত্রীকে আগে সম্মান জানানো। নারীর অধিকার রক্ষায় গত কয়েক বছর ধরে বিবিপুরের নারীরা খবরের পাতায় উঠে আসছেন।

লোকসভা নির্বাচনে বরোদা আসনে বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেন মোদি। মনোনয়নপত্রের নির্ধারিত ফরমে স্ত্রীর নাম যশোদাবেন উল্লেখ করেন তিনি।

মোদি প্রথমবারের মতো স্বীকার করলেন, তিনি বিবাহিত। তাঁর স্ত্রী রয়েছে। ১৭ বছর বয়সে প্রায় সমবয়সী এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। ওই নারীর নাম যশোদাবেন।

যশোদাবেন অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক। তিনি মোদির নিজ শহর ভাদনগর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে ব্রাহ্মণওয়াদা গ্রামে থাকেন। বিয়ের দুই সপ্তাহ পর তাঁরা আলাদা হয়ে যান। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সাবেক কর্মী ৬৩ বছর বয়সী মোদি গত চারটি বিধানসভা নির্বাচনে নির্ধারিত ফরমে স্ত্রীর নামের জায়গা খালি রেখেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসই প্রথম চ্যালেঞ্জ করে। আইনি পরামর্শ মেনে মোদি এবারই প্রথম নিজের বৈবাহিক অবস্থা স্পষ্ট করলেন।

নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য ঘোষিত হওয়ার ঝুঁকি এড়াতে মনোনয়নপত্রের সব ঘর পূরণ করার ব্যাপারে ভারতের নির্বাচন কমিশন এবার বাধ্যবাধকতা আরোপ করে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ