এক সরকারের মহাপ্রস্থান
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ মাত্র কয়েক মাস আগের কথা। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীদের সহযোগিতা করা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জাতীয় নানা ইস্যু নিয়ে রাস্তায় বেড়িয়ে এসেছিলেন দেশের সর্বস্তরের হাজার হাজার নারী-পুরুষ। তিল ধরানোর ঠাই ছিল না শাহাবাগ চত্বরে। ব্যাস্ততম এখানের সব সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। শাহাবাগ চত্বরের নতুন নাম করণ হল প্রজন্ম চত্বর। আর এই আন্দোলনের পেছনে থেকে গণজাগরণ মঞ্চের ব্যানারে সব কল কাঠি নাড়ছিলেন ডা. এমরান এইচ সরকার। গণজারণ মঞ্চের আহবানে রাস্তায় বেড়িয়ে আসা সেই সব মানুষ এখন আর রাস্তায় নেই। শেষ বারের মত প্রতারিত হয়ে ঘড়ে ফিরে গেছেন বেশ আগেই। মাত্র ক’দিন আগের সেই সময়টাও এখন আর ডা. এমরান এইচ সরকারের অনুকুলে নেই। নানা কারণে তাকে মুখপাত্রের পদ ছাড়তেই হল। শনিবার তাকে মুখপাত্রের পদ থেকে বাদ দেওয়া হল।
এমরান এইচ সরকারের এমন প্রস্থান ছিল যেন অবধারিত। দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ গণজাগরণ মঞ্চকে ‘নিরপেক্ষ মঞ্চ’ মনে করে এর পতাকা তলে আশ্রয় নিয়েছিল। এক বুক আশা নিয়ে ছুটে আসা সাধারণ মানুষ এক সময় সরকার দলীয় একটি ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্ব দেখতে পেয়ে পিছু হটতে শুরু করলো। সাধারণ মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লো গণজাগরণ মঞ্চ। এমরান সরকারও তাই….।
বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া এমরান এইচ সরকার বিষয়টি মানতে নারাজ ছিলেন। একটু পরে হলেও সেই নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলনেই জানান দেওয় হল। বলা হল গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে দেশের সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা নেই। এর পর আলোচিত সরকারের গদি আরো নড়বড়ে হয়েগেল। গণমাধ্যমের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে থাকা এই নায়কের কলংকিত অধ্যায়ের যাবনিকাপাত ঘটলো। মহা-প্রস্থানটা হল সরকারের…..