ভাইকে দেখে আনন্দে প্রাণ হারালেন বোন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ চার বারের চেষ্টা বিফল গিয়েছিল। নিজের ভাইকে এক ঝলক দেখবেন বলে পঞ্চম বার ফের ভিসার আবেদন জানিয়েছিলেন। অবশেষে ভিসাও পেলেন। ভারতভূম ছেড়ে পাড়ি দিলেন পাকিস্তানে, রাভি নদীর তিরে লাহোরে।
১৬ বছর পর ভাই-বোনের আলাপ। আনন্দে আত্মহারা দু’জনেই। ভেবেছিলেন, কয়েকদিনের মোলাকাতে ১৬ বছরের জীবনের কাহিনী শোনাবেন। কিন্তু বিধি বাম। ভাইকে দেখে আনন্দে প্রাণ হারালেন বোন। আনন্দঘন মুহূর্ত এক লহমায় বিষাদে বদলে গেল। যে চোখ দিয়ে আনন্দের অশ্রুধারা বইছিল, সেই চোখে তখন বোনকে হারানোর কষ্ট।
ভারতের মহারাষ্ট্রের উল্লাসনগরের সরলা জেবটরাম বদলানি ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে পাকিস্তানের লাহোরে গিয়েছিলেন। পাকিস্তানের লারকানায় বাস ভাই মহেশ কুমারের। আগে চার বার পাকিস্তানে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন জানালেও, তা খারিজ হয়ে যায়।
পঞ্চম বার ফের ভিসার আবেদন জানান তিনি। এবারের ট্রায়ালে সরলা জেবটরাম বদলানির ভিসা মঞ্জুর হয়। সেই অনুযায়ী লাহোর পৌঁছন তিনি। স্টেশনেই দেখা হয় দু’জনের। ১৬ বছর পর ভাইকে দেখার আনন্দে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন সরলা। জানা গিয়েছে, সিরিয়াস হার্ট অ্যাটাকে সেখানেই মৃত্যু হয় তার।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মহেশ কুমার জানান যে, শিগগির তার পরিবারকে ভিসা দেয়া উচিত। যাতে তারা সরলার দেহ ভারতে নিয়ে গিয়ে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে।
ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই কমিশনের এক কর্মকর্তা জানান, যদি মহেশও বোনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য ভারত যেতে চান, তা হলে তাকে তৎকাল ভিসা দেয়া হবে। তিনি বলেন, মানবিক এবং মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে সবসময় প্রায়োরিটি বেসিসে তৎকাল ভিসা জারি করা যায়।