আমেরিকার কঠোর নিষেধাজ্ঞার হুমকি রাশিয়াকে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ইউক্রেন সংকট সমাধানে আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিকল্পা অনুযায়ী কাজ না করলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে ওয়াশিংটন।
মার্কিন প্রেসিডেন্টর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুসান রাইস বলেছেন, ইউক্রেনের পূর্ব অংশ সেনা পাঠালে কিংবা জেনেভা সমঝোতা অনুযায়ী কাজ না করলে মস্কোকে কঠোর নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, শাস্তি এড়াতে হলে ‘আমাদের লাইনে’ কাজ করতে হবে।
রাশিয়ার অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোকে নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু বানানো হতে পারে বলে হোয়াইট হাউজে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে রাইস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সাবেক প্রজাতন্ত্র ক্রিমিয়া রুশ ফেডারেশনে যোগ দেয়ার পর সম্প্রতি দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় অন্যান্য শহরেও রুশ-পন্থী অস্ত্রধারীরা সরকারি ভবন ও থানা দখল করে নেয়। পাশাপাশি ইউক্রেনের পূর্ব সীমান্তে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করে রাশিয়া।
এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার জেনেভায় আমেরিকা, রাশিয়া, ইউক্রেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিকরা সংকট সমাধানের লক্ষ্যে এক সমঝোতায় উপনীত হন। সমঝোতায় বলা হয়, সব ‘অবৈধ’ অস্ত্রধারীকে নিরস্ত্র হতে হবে এবং দখল হয়ে যাওয়া সব ভবন ‘বৈধ কর্তৃপক্ষের’ কাছে হস্তান্তর করতে হবে। ইউক্রেনের দখল হয়ে যাওয়া সব শহরের সড়ক, স্কয়ার ও অন্যান্য জায়গাকে মুক্ত করে দিতে হবে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তি ছাড়া অন্য সব বিক্ষোভকারীর প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হবে।
কিন্তু ইউক্রেনের সরকারি ভবনগুলো দখল করে রাখা রুশ-পন্থী সশস্ত্র ব্যক্তিরা শুক্রবার তাদের দখল ছাড়তে অস্বীকৃতি জানায়। আর এর সূত্র ধরেই নতুন করে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করল ওয়াশিংটন। সুসান রাইস বলেন, জেনেভা সমঝোতা অনুযায়ী রাশিয়া কাজ করছে কি না আগামী কয়েকদিন তা ‘গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ’ করবে আমেরিকা।
অবৈধভাবে ইউক্রেনের সরকারি ভবন দখল করে রাখা ‘অনিয়মিত সৈন্যদেরকে’ সরিয়ে নিতে রাশিয়া তার প্রভাব কাজে লাগায় কি না তা দেখতে হবে; কারণ, জেনেভা সমঝোতায় সেরকম কথাই দিয়েছে মস্কো। সে কথা মানতে অপারগ হলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার জন্য রাশিয়াকে তৈরি থাকতে হবে বলে সতর্ক করে দেন তিনি। অবশ্য এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চাপপ্রয়োগের ভাষায় কথা না বলতে ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।