লংমার্চে যারা বাধা দেবে তারা জাতীয় শত্রু : রিজভী
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ লংমার্চ একটি জাতীয় ইস্যু। যারা এই কর্মসূচিতে বাধা দেবে তারা জাতীয় শত্রু।
এ মন্তব্য করেছেন বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রোববার দুপুরে দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তিস্তা অভিমুখে বিএনপির লংমার্চ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, অবৈধ সরকার ভারতের আয়নায় বিশ্বকে দেখতে গিয়ে দেশের জাতীয় স্বার্থকে ভারতের পদতলে ঠেলে দিয়েছে।
নিজ দেশের নিরাপত্তা হুমকির মুখে ঠেলে দিয়ে ভারতের স্বার্থ দেখতে একবারে অন্তঃপ্রাণ হয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগ।
রিজভী বলেন, ভারতের স্বার্থ দেখতে গিয়ে সরকার দেশের জনগণের জীবন মান হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। অথচ ভারতের প্রতি সরকারের প্রেমের কোন কমতি নেই। সরকারের ভারতের প্রতি প্রেম ওয়ান ওয়ে ট্রাফিক।
তিনি বলেন, ভেঙেছে কলসির কানা, তাই বলে কি প্রেম দেবো না! এই বৈঞ্চব প্রেমকেও হার মানিয়েছে এই সরকার।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ বজায় রাখার যে কথা বলেছেন, তা ভূতের মুখে রাম নাম উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, একদিকে তারা পরিবেশের কথা বলে অন্যদিকে বাংলাদেশের মানুষের জীবন জীবিকার অন্যতম উৎস নদীগুলোতে বাঁধ দিয়ে তা শুকিয়ে রেখেছে।
২২ এপ্রিল সকাল ৮টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে লংমার্চ শুরু হয়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পথসভা হবে। এর পরে টাঙ্গাইলে, সিরাজগঞ্জ, বগুড়ায় পথসভা করবে বিএনপির লংমার্চ। বগুড়ার পথসভা শেষে লংমার্চ রওয়ানা হবে রংপুরের উদ্দেশ্যে। ২২ তারিখ রাতে রংপুরে অবস্থান শেষে ২৩ তারিখ সকাল ১১টায় রংপুরে সমাবেশ করবে। রংপুরের সমাবেশ শেষে লংমার্চ রওয়ানা হবে তিস্তা অভিমুখে, ২৩ তারিখ বিকেলে ডালিয়া পয়েন্টে সমাবেশ শেষে লংমার্চের কর্মসূচি সমাপ্ত করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবদুস সালাম, সহ দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, শামীমুর রহমান শামীম, আবদুল লতিফ জনি, সহ ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, সেচ্ছা সেবক দলের সাধারন সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু, দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. রফিক শিকদার প্রমুখ।