ইসির ডিসিসি নির্বাচনের খবর নেই

Election Commission নির্বাচন কমিশনসিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ঢাকা (উত্তর ও দক্ষিণ) সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কোনো খবর নেই নির্বাচন কমিশনে(ইসি)। প্রায় দু’বছর পেরিয়ে গেলেও কবে নাগাদ দুই সিটিতে নির্বাচন দিতে পারবে তার নিশ্চয়তা দিতে পারছে না কমিশন।

দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভাগ্য নির্ভর করছে ক্ষমতাসীন সরকারে নির্দেশনার উপর।নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে এ বিষয়টি জানা গেছে।

নির্বাচন কমিশন আইন শাখা তথ্যানুসারে প্রশাসক নিয়োগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের আইনগত বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও দু’বছর অতিবাহিত হয়েছে যা সুস্পষ্টভাবে আইন লঙ্গণ।

নির্বাচন কমিশনার শাহ নেওয়াজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সীমানা নিয়ে উদ্ভূত জটিলতা নিরসন হলেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে কমিশন।

এ জটিলতা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নিরসন করার কথা। তাদের বারবার তাগাদা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু তারা কোনো পজেটিভ সাড়া দিচ্ছে না। এ জটিলতা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত কমিশনের কিছু করার নেই বলে জানান এ নির্বাচন কমিশনার।

অপরদিকে সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, নির্বাচন কমিশন সীমানা নির্ধারণের অজুহাতে এড়িয়ে যাচ্ছে নির্বাচনের প্রসঙ্গটি।সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আইনানুসারে প্রশাসক নিয়োগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের আইনি বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও প্রায় দুই বছর ঝুলে আছে ডিসিসি নির্বাচন।
ডিসিসি নির্বাচন নিয়ে স্থানীয় সরকার বিশ্লেষক তোফায়েল আহমদ মনে করছেন, নগরীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নির্বাচন জরুরি। তাই নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের(সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার জানান, যথাসময়ে নির্বাচন না করা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘণ। সংবিধানের ৫৯ অনুচ্ছেদে বলা আছে, সর্বক্ষেত্রে নির্বাচিত প্রতিনিধির শাসন নিশ্চিত করতে হবে। সেটাই গণতন্ত্র।
তিনি বলেন, সরকারের সকল স্তরেও নির্বাচিত প্রতিনিধির শাসন জরুরি। নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায় ঢাকা নগরীর উন্নয়ন কার্যক্রম ঠিকমতো চলছে না।
আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় জানা গেছে, ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের প্রতিটি ইউনিটকে চাঙ্গা করেই দুই সিটি নির্বাচন দিতে চায় আওয়ামী লীগ।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর মন্ত্রিসভায় ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) আইন ২০১১’ চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। তার আগে ১৭ অক্টোবরের বৈঠকে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। পরে ২৩ নভেম্বর এ সংক্রান্ত বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। পরে ২৯ নভেম্বর সংসদে ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) বিল, ২০১১’ পাস হয়। ওইদিন ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) বিভক্ত করে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন করা হয়। এরপর প্রথমবারের মতো ২০১১ সালের ৩ ডিসেম্বর দুই সিটি করপোরেশনে দুই অতিরিক্ত সচিবকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ