দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ২
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, লক্ষ্মীপুরঃ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা চন্দ্রগঞ্জ এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে মো. শিমুল (১৩) নামে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। এ সময় আগুনে পুড়ে ফরহাদ (৩৩) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও রাজু (২২) নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটে সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের দেওপাড়া গ্রামের কাজি বাড়িতে।
নিহত শিমুল একই ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের আব্দুল রাজ্জাকের ছেলে। তার মৃতদেহ সদর হাসাপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ রাজুকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ছাত্রদল নেতা সলেমান উদ্দিন জিসান ও তার বাহিনীকে দায়ী করেছে নিহতের পরিবার।
এর আগে রাত সাড়ে ১০টা থেকে ওই এলাকায় সন্ত্রাসী জিসান বাহিনী ও নাছির বাহিনীর মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধ হয়। এ সময় জিসান সমর্থিত দুজনের বাড়িতে আগুন দেয় নাছির বাহিনীর সদস্যরা।
ঘটনাস্থলেই আগুনে পুড়ে ফরহাদ (৩৩) নামে এক যুবকের মত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়েই জিসান বাহিনী ছাত্রলীগ নেতা কাজী বাবলুর বাড়িতে হামলা চালায়।
আহত মো. রাজু জানান, রাতে সাড়ে ১০টার দিকে জিসানের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক দুর্বৃত্ত তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে জিসান বাহিনীর সদস্যরা। এতে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। পরে দুর্বৃত্তরা তাদের বাড়িতে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে তার ভাগিনা শিমুল ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
তিনি জানান, তার ভাই কাজী বাবলু নাছিরকে সহযোগিতা করছে এই অভিযোগ করে জিসান বাহিনী তাদের বাড়িতে হামলা চালায়।
এর আগে রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত জিসান ও নাছির বাহিনীর মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। পরে নাছির বাহিনীর সদ্যসরা চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি লতিফপুর গ্রামের তোফায়েল আহম্মদ ও দেওপাড়া গ্রামের বিএনপি সমর্থক আলী করিমের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। আগুনে আলী করিমের বাড়িতে থাকা ফরহাদ অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। তার বাড়ি পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলায়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ইকবাল হোসেন গুলিবিদ্ধ ও অগ্নিদগ্ধ হয়ে দুজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গুলিবিদ্ধ একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন রয়েছে।