রেমিট্যান্স প্রবাহ ঘুরে দাঁড়াচ্ছে
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপ আমেরিকার দেশগুলো থেকে রেমিটেন্স (প্রবাসী আয়) প্রবাহ বাড়ছে। ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে রেমিটেন্স বেড়েছে ১১ কোটি ৫৪ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের দেশভিত্তিক রেমিটেন্স আহরণের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা, বেসরকারি পর্যায়ে জনশক্তি রফতানিতে অনীহা, সর্বোপরি সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতায় রেমিটেন্স নেতিবাচক ধারায় চলে যায়। জানুয়ারিতে নির্বাচনের পরে রাজনৈতিক অস্থিরতা কমেছে যার কারণে রেমিটেন্স বাড়ছে। তাছাড়া গত কয়কে মাসে সৌদি আরবের আকামা সংক্রান্ত জতিলতা বর্তমানে কেটে গেছে। জনশক্তি রফতানি বাড়াতে নতুন করে সরকারিভাবে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। আগামীতে রেমিটেন্স প্রবাহ আরো বাড়বে বলেও মনে করছেন তারা।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ফেব্রুয়ারিতে মধ্যপ্রাচ্য দেশগুলো থেকে ৭০ কোটি ৮৬ লাখ ডলার এসেছিলো, মার্চে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৭ কোটি ১০ লাখ ডলার। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ৬ কোটি ২৩ লাখ মার্কিন ডলার। একই সময়ে ইউরোপ আমেরিকাসহ অন্যান্য দেশগুলো থেকে রেমিটেন্স বেড়েছে ৫ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার। ফেব্রুয়ারিতে ইউরোপ আমেরিকাসহ অন্যান্য দেশগুলো থেকে রেমিটেন্স এসেছিল ৪৬ কোটি ৫৪ লাখ ডলার, মার্চে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ কোটি ৭৬ লাখ ডলার।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের নয় মাসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে ৬২১ কোটি ডলারের রেমিটেন্স দেশে এসেছে। আর অন্যান্য দেশ থেকে এসেছে ৪২৮ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। এতে করে নয় মাসে রেমিটেন্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলার।
প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, গত মার্চ মাসে পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ইতালি থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। এছাড়া জাপান, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়া থেকেও আসা রেমিটেন্স বেড়েছে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বরাবরের মতই এবারও সৌদি আরব থেকে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স এসেছে। মার্চে দেশটি থেকে রেমিটেন্সের পরিমাণ ২৮ কোটি ৩২ লাখ। যা ইউরোপের সব দেশ থেকে আসা রেমিট্যান্সের চেয়েও বেশি। সৌদি আরবের পরই রেমিট্যান্স প্রবাহে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ওই দেশ থকে এসেছে ২৫ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের দেশভিত্তিক রেমিটেন্স আহরণের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১২-১৩ অর্থবছরে রেমিটেন্স এসেছে ১ হাজার ৪৪৬ কোটি ডলার।