অত্যাধুনিক অস্ত্র দিচ্ছে রাশিয়া

syria

এবিসি নিউজ ডেস্ক, ঢাকাঃ সিরিয়াকে অত্যাধুনিক জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে রাশিয়া।‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ পত্রিকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, ভবিষ্যতে সিরিয়ায় বিদেশি সামরিক আগ্রাসন মোকবেলায় এ সমস্ত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।

তবে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্টভাবে বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে বলেছেন, রাশিয়া আন্তর্জাতিক নিয়ম ভেঙে কোনো কিছু সরবরাহ করেনি।

সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র হামলা হওয়া এবং এর অকাট্য প্রমাণ পাওয়া গেলে দেশটিতে সামরিক হস্তক্ষেপের ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার হুঁশিয়ারি নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে থাকার মাঝে দামেস্ককে রাশিয়ার অস্ত্র সরবরাহের এ খবর এল।

রাশিয়া সিরিয়ার অন্যতম মিত্র দেশ এবং প্রধান অস্ত্র যোগানদাতা।বছরের পর বছর ধরে রাশিয়া কয়েকশ কোটি ডলারের চুক্তির আওতায় দামেস্কে হাজার হাজার ট্যাংক, গোলাবারুদ, যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার বিক্রি করাসহ নানা ধরনের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা করে এসেছে।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিদেবনের মতে, সর্বসম্প্রতি রাশিয়া সিরিয়ায় অস্ত্রের যে চালান পাঠিয়েছে তাতে ২৯০ কিলোমিটার পাল্লার ২২ ফুট লম্বা ইয়াখোন্ত ক্ষেপণাস্ত্রের আধুনিক সংস্করণ রয়েছে।

পত্রিকাটিতে বলা হয়েছে, উৎক্ষেপক ও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক হাতিয়ারসহ ৭২ টি ক্ষেপণাস্ত্রের অর্ডার দেয়া হয় ২০০৭ সালে এবং সে অনুযায়ী, প্রথম অস্ত্র সরবরাহ হয় ২০১১ সালের শুরুর দিকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস বলেছে, সর্বসাম্প্রতিক চালানে রাশিয়া আরো আধুনিক রাডার গাইডেন্স সিস্টেম সিরিয়াকে দিয়েছে।যা দিয়ে সিরিয়া যুদ্ধজাহাজের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে এড়িয়ে চলতে পারবে।

যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি পত্রিকা ওয়াল স্ট্রিটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কো অন্তত ১২ টি যুদ্ধজাহাজ সিরিয়ার তারতাস শহরে পাঠিয়েছে রুশ নৌঘাঁটির কাছের জলসীমা পাহারা দেয়ার জন্য।মার্কিন কর্মকর্তারা একে রাশিয়ার শক্তি প্রদর্শন বলেই মনে করছেন।

তবে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলছেন, গণমাধ্যম কেন বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চাইছে তা তার বোধগম্য নয়।

তিনি আরও বলেন, সই করা চুক্তির আওতায় সিরিয়ায় রাশিয়ার অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি সবারই জানা।রাশিয়া লুকিয়ে কিছু করছে না এমনকি নিজেদের কোনো আইন কিংবা আন্তর্জাতিক কোনো চুক্তিও লঙ্ঘন করছে না।

সিরিয়া সঙ্কট ক্রমেই জটিল আকার ধারণ করতে থাকায় বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলনেরও প্রস্তুতি চলছে।জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন শুক্রবার সম্মেলনের পরিকল্পনা নিয়ে ল্যাভরভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বলে জানা গেছে।

সুত্রঃ দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ