হাসপাতালগুলোতে নৈরাজ্য, স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে দায়ি করেছেন গণমাধ্যম নেতারা
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে চলছে নৈরাজ্য। ডাক্তার হয়ে ওঠার আগেই ইন্টার্নীরা এক শ্রেনীর অসাধু ডাক্তারদের সঙ্গে যোগ দিয়ে চিকিৎসার নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে চলেছে। রোগির প্রতি অবহেলা বা ভুল চিকিৎসার প্রতিবাদ করলেই এরা হয়ে ওঠে সহিংস। এদের হাত থেকে রেহাই পায় না কেউই। পেশাগত দায়িত্বে শুধু বাঁধাই নয়, সাংবাদিদকদের মারধরের পর কেড়ে নিয়ে ভাংচুড় করা হয় লক্ষ লক্ষ টাকা মূল্যের ক্যামেরাও।
বারডেম ও মিটফোর্ড হাসপাতালের পর সর্ব শেষ দু’দিন আগে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ঘটনা গোটা জাতিকে ক্ষুব্দ করে তুলেছে। বিষয়টিতে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূল স্বাস্তির দাবি করেছেন গণমাধ্যমের নেতৃবৃন্দ। তাঁরা হাসপাতালগুলোতে এমন নৈরাজ্যের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রীকেও অনেকাংশে দায়ি করেছেন। নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের উন্নত চিকিৎসার পাশাপাশি ভাংচুড় করা মূল্যবান ক্যামেরা ও ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির ক্ষতিপূরণ দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, ‘বারডেমের পর বিশিষ করে মিটফোর্ড ও রাজশাহী মেডিকেলে সাংবাদিকদের উপর যে নিশ্বংস হামলা হয়েছে, আমরা যা টেলিভিশনের পর্দায় দেখেছি, তা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়।’
তিনি বলেন, ‘এটা শুধু অমানবিকই নয়, কোন সভ্য দেশে এমনটি কাম্য হতে পারে না। এর জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম অনেকাংশে দায়ি। তার বক্তব্যে উস্কানি এসেছে। ইন্টানি ও এক শ্রেনীর ডাক্তাররা এতে উৎসাহিত হয়েছেন।’
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি বিশিষ্ট কবি আবব্দুল হাই শিকদার এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, ‘১৬ এপ্রিল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠানে বারডেমের চিকিৎসকদের পক্ষে দাঁড়িয়ে পুলিশদের চিকিৎসা বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের সহিংস কর্মকান্ডে উৎসাহিত করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকরা রোগির স্বজনদের সঙ্গে মারামারির খবর শুনে পেশাগত দায়িত্ব পালনে হাসপাতালে প্রবেশ করেছিল এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন,। তাদের উপর ইন্টার্নি ও এক শ্রেনীর সন্ত্রাসী ডাক্তাররা যেভাবে হামলা চালিয়েছেন, তা শুধু ভয়াবহই নয়, গণমাধ্যমের জন্য উদ্বেগেরও।