রাজারবাগে পুলিশ অফিসার্স কোয়ার্টারে চুরির ঘটনা তদন্তে অগ্রগতি নেই
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ রাজারবাগ পুলিশ অফিসার্স কোয়ার্টারে জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার কামাল হোসেনের বাসায় দুঃসাহসিক চুরির ঘটনার তিন দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এই মামলায় তেমন কোন অগ্রগতি করতে পারেনি। মামলা মূল দায়িত্ব পালনকারী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ অবশ্য এ বিষয়ে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছে।
বৃহস্পতিবার গোয়েন্দা পুলিশের এসি ইকবাল এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, ‘আমরা এই চুরির ঘটনাকে খুব গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত নেমেছি। ‘কতজন আটক আছে’ এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এ মুহুর্তে আসলে তদন্ত্মের স্বার্থে কিছুই প্রকাশ করতে চাচ্ছি না। আপনারা দোয়া করবেন, যাতে শিগগিরই এই মামলার পরিকল্পনাকারীসহ চোরদের আটক ও খোয়া যাওয়া মালামাল উদ্ধার করতে পারি।’
সংশিস্নষ্ট পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোরশেদ আলম এই প্রতিবেদককে বলেন, বিষয়টি গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) দেখছে। সেই কারনে এ মুহুর্তে অগ্রগতির বিষয়ে তেমন কিছু বলতে পারছি না।
(ইনসেটে তছনছ করা সহকারী পুলিশ কমিশনারের বাসভবন)
উলেস্নখ্য, গত মঙ্গলবার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের বিপরিতে পুলিশ অফিসার্স কোয়ার্টারের দোতলার ২/এফ, ফ্ল্যাটে এই দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে। চোর স্বর্নালঙ্কার, মোবাইল, ক্যামেরাসহ প্রায় বিশ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। সহকারী পুলিশ কমিশনার কামাল হোসেন এসময় তার দেশে বাড়ি বরগুনায় ছিলেন। গত শুক্রবার দুইভাই একত্রে বরগুনায় যান।
এই দিন রাত ১২টার পরে বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। খবর পেয়ে পল্টন থানার ওসি, রাত ১টার কিছু সময় পর সিআইডির ক্রাইম সিন, গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনা স্থলে ছুটে আসে। তারা ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে খোয়া যাওয়া জিনিসপত্রের অনুসন্ধান ও আলামত সংগ্রহ করেন।
ফ্ল্যাটের বাসিন্দা কামাল হোসেন এই দুঃসাহসিক চুরি ঘটনা শুনে রাতেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। বুধবার সকাল সারে ৮টার দিকে তিনি ঢাকায় এসে পৌছান।
পুলিশ সূত্র জানায়, কামাল হোসেনের একমাত্র কন্যা দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত। কন্যার সু-চিকিৎসার জন্য তার স্ত্রী বর্তমানে আমেরিকায় অবস্থান করছেন। আগামী মাসে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে তাদের কন্যার কর্ড বস্নাড ট্রান্সপস্ন্যান্টেশনের কথা।