জেএসসির বৃত্তিতে চতুর্থ বিষয়ের নম্বর বাদ
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ চতুর্থ বিষয়ের নম্বর ছাড়া মোট প্রাপ্ত নম্বরের ওপর ভিত্তি করে জেএসসিতে বৃত্তি প্রদান করার বিষয়ে নীতিমালা সংশোধন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০১০ সাল থেকে অনুষ্ঠিত জেএসসি/জেডিসি পরীক্ষার ফলের ওপর বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। বৃত্তি প্রদানের একটি নীতিমালাও রয়েছে।
গত ১৩ মার্চ মন্ত্রণালয় নীতিমালা সংশোধন করে বলে, ‘জেএসসি/জেডিসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ’র ভিত্তিতে বৃত্তি প্রদান করা হবে’।
কিন্তু বুধবার সংশোধিত নীতিমালায় বলা হয়, ‘সংশ্লিষ্ট পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ’র ভিত্তিতে বৃত্তি প্রদান করা হবে। তবে জেএসসির ক্ষেত্রে চতুর্থ বিষয় ছাড়া প্রাপ্ত জিপিএ নম্বরের ওপর ভিত্তি করে বৃত্তি প্রদান করতে হবে।
২০০৯ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের অধীন অষ্টম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষার অতিরিক্ত পৃথকভাবে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতো। তবে মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর জন্য পৃথক কোনো বৃত্তির ব্যবস্থা ছিল না।
জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা চালুর পর মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদেরও জিপিএ ফলের ওপর ভিত্তি করে সাধারণ ও মেধা বৃত্তি দেয়া হচ্ছে।
জেএসসিতে মেধা কোটায় নয় হাজার ৮০০ ও সাধারণ কোটায় ২১ হাজার এবং জেডিসিতে মেধা কোটায় দুই হাজার ও সাধারণ কোটায় চার হাজার বৃত্তি দেয়া হবে বলেও উল্লেখ করা হয় নীতিমালায়।
সর্বশেষ ২০১৩ সালের অষ্টম শ্রেণীতে (জেএসসি) ৩০ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৯ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী মেধাবৃত্তি ও ২১ হাজার শিক্ষার্থী সাধারণ বৃত্তি পেয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) গত ১০ এপ্রিল বৃত্তি ঘোষণা করে।
মেধা বৃত্তির ক্ষেত্রে প্রতি মাসে ৩০০ টাকা ও বার্ষিক এককালীন ৩৭৫ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তির ক্ষেত্রে মাসিক ২০০ টাকা ও বার্ষিক এককালীন ২২৫ টাকা দেয়া হবে। এ বৃত্তির টাকা শিক্ষার্থীরা কেবল নবম এবং দশম শ্রেণীতে অধ্যয়নের সময় পাবে।
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। জেএসসিতে পাসের হার ছিল ৮৯ দশমিক ৭১ ও জেডিসিতে পাসের হার ছিল ৯১ দশমিক ১১ শতাংশ।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, জেএসসিতে পাসের হার এবং জিপিএ-৫ বেশি পাওয়ার কারণে বৃত্তি থেকে চতুর্থ বিষয়ের নম্বর বাদ দেয়া হয়েছে।