বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সম্পর্ক কমফোর্টাবল নয় : অর্থমন্ত্রী
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সম্পর্ক কমফোর্টাবল নয় বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবব্দুল মুহিত।
শনিবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রনালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওয়াশিংটন ও ম্যাক্্িরকো’র সফরের বিস্তারিত অবহিত করার লক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী তার দীর্ঘ ১৫ দিন সফরের নানা দিক তুলে ধরেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের পন্যের ডিউটি ফ্রি কোটা ফ্রি সুযোগ বিশ্বের অনেক দেশ থেকে আমরা পচ্ছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থেকে পাইনা। ৫ বছর ধরে এ বিষয়ে আমরা তাদের বলছি। তাদের কোন রি-এ্যকশন নেই। তারা অনুমোদন ও দিচ্ছে না, ডিনাইও করছে না।
গ্রামীন ব্যাংক সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গ্রামীন ব্যাংক নিয়ে হৈচৈ করে, কিন্তু গ্রামীন ব্যাংকে কোন অর্থনৈতিক সহায়তা দেয় না। তারা শুধু ড. ইউনুস প্রসঙ্গে কথা বলতে চায়। ড. ইউনুস সম্মানীত মানূষ। তাকে আমরা কখনো অসম্মান করতে চাইনি। আমরা তার সঙ্গে সমঝোতা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আদালতে হেরে আর আমাদের সঙ্গে কথা বলেননি।
অর্থমন্ত্রী জানান, দশমিক ২৫ শতাংশ হারে আমরা যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে শুল্ক দেই। সে হিসাবে বছরে এটা ৮০০ মিলিয়নে গিয়ে দাঁড়ায়। এখন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে যে, বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার অনেক বড়। এজন্য শুল্কমুক্ত সুবিধা দিলে তাদের লোকশান হয়ে যাবে।
কিন্তু এটা মোটেও ঠিক নয়। কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক দেশসহ বেশ কিছু দেশের বাজারে আমরা শুল্কমুক্ত কোটা সুবিধা পেয়ে থাকি। এতে তারাও লাভবান হন এবং আমরাও হই। মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।
“হংকংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিলো যে, উন্নত দেশগুলোর বাজারে পণ্য রপ্তানিতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে ৯৭ শতাংশ কনসেশন দেয়া হবে। এতে যুক্তরাষ্ট্র অংশ নেয় নি। আবার এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতাও তারা করেনি। বাট দে ডোন্ট অ্যাভোয়েড ইট অ্যান্ড নট গিভ অ্যানি কমেন্ট।”
এ প্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী জানান, “আমি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে শুল্কমুক্ত কোটা সুবিধা নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করছি। এতে আমরা কতটুকু শুল্ক দেই বা কি পরিমাণ রপ্তানি হয় তার একটি সার্বিক চিত্র তুলে ধরা হবে।”
মুহিত আরও বলেন, “আমাদের সঙ্গে ইউএসের রাজনৈতিক সম্পর্ক ইজ নট সো কমফোর্টেবল, বাট বিজনের রিলেশন ইজ মাচ বেটার।”
যুক্তরাষ্ট্রের প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ইউএস তো শুরু থেকেই আমাদের বিরোধীতা করছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও তারা আমাদের সাপোর্ট করেনি। পৃথিবীর এমন কোনো পরাশক্তি নেই, যারা এমন বিরোধীতা করেছে।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন।