বিজিএমইএ রানা প্লাজায় নিহতদের সন্তানের দায়িত্ব নিল

BGMEA বিজিএমইএসিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ রানা প্লাজায় নিহত শ্রমিকদের শিশু সন্তানের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সব সুযোগ সুবিধার দায়িত্ব নিল বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশন(বিজিএমইএ)।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেঞ্জ লাউঞ্জে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম পরিচালিত রানা প্লাজা ভবন ধসে নিহতদের কন্যা শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠিত এতিমখানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিজিএমই সভাপতি মোঃ আতিকুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন।অনুষ্ঠান আয়োজন করে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, পিতা মাতা না থাকা এসব এতিম শিশুরা তার বাবা মার আদর পাবে না কিন্তু আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের আদর ও সেবায় সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করবে।

ইতোমধ্যে বিজিএমই রানা প্লাজায় হতাহত ১৪টি শিশুকে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এমন কি এতিম শিশুর সংখ্যা ১০০ হলেও সকল ব্যয় বহন করবে বিজিএমইএ।

তিনি বলেন, টাকা দিয়ে কখন ক্ষতিপূরণ হয় না এবং টাকা দিয়ে সেবাও হয় না। তবে টাকা ছাড়া সেবাও অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এজন্য বিজিএমই তাদের সকল সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে রানা প্লাজার ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, রানা প্লাজা শুধু শ্রমিকদের না আমাদেরও ধ্বংস করে দিয়েছে। বর্তমানে গার্মেন্টস শিল্প ভালো নাই। রানা প্লাজা ধসের পর ১৭ হাজার ৫০০ শ্রমিক বেকার হয়েছে। প্রতিনিয়ত গার্মেন্টস পরিদর্শন করা হচ্ছে। দু’দিন পর আরো দুটি গার্মেন্টস পরিদর্শন করা হবে। এতে আরো ছয় হাজার শ্রমিক বেকার হবে। পরিদর্শন হলেই সমস্যা বাড়বে। এ সমস্যা সমাধানে তিনি সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে এতিমদের ব্যয়ভার বহনের অগ্রিম হিসেবে বিজিএমইএ পক্ষ থেকে তিনি ২ লাখ টাকার একটি চেক প্রদান করেন।

এ সময় আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের পক্ষ থেকে জানানো হয় সাভারের পাথালিয়ায় আঞ্জুমান আজিজুল ইসলাম বালিকা হোমে একটি বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠার কথা।কিন্তু রানা প্লাজার হতাহতদের এতিম বালিকাদের কথা চিন্তা করে কর্তৃপক্ষ এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেছে।

এতিমখানাটিতে বর্তমানে ১৭ জন বালিকা শিশু রয়েছে।  দৈনিক প্রতিটি শিশুর জন্য ১৬৬ টাকা করে ব্যয় করা হচ্ছে। যা বহন করছে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাঃ এনামুর রহমান বলেন, রানা প্লাজার মতো দেশে দ্বিতীয় আর একটি ঘটনা ঘটলে সরকারের পক্ষে তা সামাল দেয়া সম্ভব নয়। রানা প্লাজার ঘটনায় দেশের সকল শ্রেণীর লোকদের সহয়াতায় তা সামাল দেয়া সম্ভব হয়েছে। এ থেকে শিক্ষা নিয়ে সরকারের বিশেষ উদ্যোগ নেয়া উচিত।

প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মোঃ শামসুল হক চিশতী’র সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন আঞ্জুমানের ট্রাস্টি ও সহ-সভাপতি মোঃ আজিম বখস, এতীমখানা পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মোরসেদ আহাম্মেদ চৌধুরী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে এতিমখানার উপরে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ