সাংবাদিক হামলায় জড়িত ডাক্তারদের শাস্তির দাবি
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ইন্টার্নি ডাক্তারদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি ও তাদের সনদ প্রদানে খেয়াল রাখার দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। একই সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে সাংবাদিকদের প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান তারা।
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত ‘হাসপাতালে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা এসব দাবি জানান।
সমাবেশে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন(বিএফইউজে)’র সভাপতি শওকত মাহমুদ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, এক শ্রেণীর ইন্টার্নি ডাক্তারদের কারণে অন্য ডাক্তারদের মর্যাদা ও সুনাম নষ্ট হচ্ছে। অবিলম্বে এসব ইন্টার্নি ডাক্তারকে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। একই সঙ্গে এদের সনদ প্রদানের বিষয়ে খেয়াল রাখবেন।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাংবাদিকদের ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এ ঘটনার পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠক হয়েছে- সেখানে আমাদের অপর সাংবাদিক নেতারা ছিলেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, হাসপাতালগুলোতে সাংবাদিকদের জন্য তথ্য কেন্দ্র খুলে দেয়া হবে। এটা একটি ভুল সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে সাংবাদিকদের তথ্য কেন্দ্র পর্যন্ত যাওয়ার অধিকার থাকবে। সাংবাদিকদের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিলে প্রকৃত ঘটনা আর বেরিয়ে আসবে না।
প্রেসক্লাবের সাবেক এ সভাপতি বলেন, হাসপাতালে ঢুকতে হলে পরিচালকের অনুমতি লাগবে। তাকে নিউজের বিষয় অভিহিত করতে হবে।। এরপরে প্রয়োজন মনে করলে তিনি অনুমতি দেবেন। অনুমতি দিলে তার সঙ্গে একজন আনসার থাকবে। এরপর সাংবদিকরা হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারবেন। এটা কখনও মেনে নেয়া যায় না।
তথ্য অধিকার আইনে হাসপাতালে সাংবাদিকদের বাধা দেয়ার কথা লেখা নেই উল্লেখ করে শওকত মাহমুদ বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের তথ্য অধিকার আইন রয়েছে। তথ্য পাওয়া ও সেটা জনগণকে জানানোর অধিকার রয়েছে। অথচ বিভিন্ন হাসপাতালে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে- দালাল ও সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ।
তিনি বলেন, যাদের প্ররোচনায়ই এ নির্দেশ জারি করা হোক- তা বাতিল করতে হবে।
ডাক্তারদের সংগঠনগুলোকে উদ্দেশ্য করে এ সাংবাদিক নেতা বলেন, আসুন আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করি। সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করি।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কবি আব্দুল হাই সিকদার বলেন, দেশ আজ দেশের জায়গায় নেই। সুবিচার এখন শুধু স্মৃতি। চিকিৎসাব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ভারে বাংলাদেশ ভারাক্রান্ত।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে আরো ছিলেন- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব এম এ আজিজ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাকের হোসাইন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি কে এম মহসিন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, এ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কোনো সাংবাদিক নেতাকে দেখা যায়নি।