রিয়াল এক যুগ পর ফাইনালে
স্পোর্টস ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ মিউনিখে ছিল মহাযুদ্ধ। তবে সেটা একতরফা করে ফেলল রিয়াল মাদ্রিদ। বায়ার্ন মিউনিখকে রোনালদো-রামোস চমকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে নাম লেখাল রিয়াল মাদ্রিদই। প্রথম লেগে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ১-০ গোলে জিতেছিল কার্লো আনচেলোত্তির দল। তাই সব মিলিয়ে ৫-০ গোলের অগ্রগামিতা নিয়ে এক যুগ পর ফাইনালে পৌঁছেছে রিয়াল। রিয়ালের দশম শিরোপাটি এসেছিল ২০০২ সালে। এরপর থেকে ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে পৌঁছাতে পারেনি দলটি। শেষ তিন মৌসুমে স্পেনের সবচেয়ে সফল দলটিকে ফিরতে হয়েছে সেমি-ফাইনাল থেকে। রোনালদো-রামোস চমকে এবার ঘুচল সেই আক্ষেপ। দুজনই গোল করেছেন ২টি করে।
রোনালদো আবার দুই গোল করে ইতিহাস গড়েছেন এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ১৬ গোলের। ১৯৬২-৬৩ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের আলফ্রেড ডি স্টেফানো ও এসি মিলানের ভ্লাদিকা কোভাসেভিচ আর ২০১১-১২ মৌসুমে বার্সেলোনার লিওনেল মেসি ১৪টি করে গোল করেছিলেন।
২০১১-১২ মৌসুমে জার্মানির সবচেয়ে সফল ক্লাব বায়ার্নের কাছে হেরে হতাশায় পুড়েছিল রিয়াল। দ্বিতীয় প্রতিশোধটি নিয়ে একাদশ শিরোপার দিকে আরেকধাপ এগিয়েছে দলটি। লুকা মদ্রিচের কর্নার থেকে রামোসের হেড জালে জড়ালে ১৬তম মিনিটে এগিয়ে যায় রিয়াল। প্রথম লেগে এক গোলে পিছিয়ে থাকায় ফাইনালে পৌঁছাতে এ সময় অন্তত তিন গোলের প্রয়োজন ছিল পেপ গার্দিওলার দলটির। এই ধাক্কা সামলে উঠার আগেই আবার গোল। পুরো গ্যালারিকে স্তব্ধ করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রামোস। আনহেল ডি মারিয়ার ফ্রিকিক থেকে ২০তম মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করেন রামোস। ইউরোপের সেরা প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ ১৫টি গোলের নতুন রেকর্ড গড়া রোনালদোর লক্ষ্যভেদে কাজটা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় বায়ার্নের। ৩৪তম মিনিটে গ্যারেথ বেলের পাস থেকে ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার দলকে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে নেন। ৯০তম মিনিটে ফ্রিকিক থেকে দলকে চতুর্থ গোলটি এনে দেন রোনালদো। এত বড় জয়ে দশম শিরোপার স্বপ্ন এখন দেখতেই পারে রিয়াল।