শামীম প্রসঙ্গ উঠতেই হাছান মাহমুদ চলে গেলেন
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে অপহরণ ও তাদের লাশ উদ্ধার নিয়ে নাসিক মেয়র আইভীর অভিযোগের রেশ টেনে সাংবাদিকরা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের কাছে শামীম ওসমানের প্রসঙ্গ প্রশ্ন তোলেন । এ সময় তিনি চটজলদি দু-একটির জবাব দিয়ে দ্রুত চলে যান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনা ঘটে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কপোরেশন মেয়র ড. সেলিনা হায়াৎ আইভী ত্বকী হত্যাকাণ্ডের সময় বলেছিলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে শামীম ওসমান জড়িত।
বুধবার অপহৃতদের লাশ উদ্ধারের পর তিনি বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষ একটি পরিবারের হাতে এখনও জিম্মি।’
এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সব ঘটনার পর নারায়ণগঞ্জের মেয়র একজনের দিকেই আঙ্গুল তোলেন। এতে করে সন্দেহ রয়েছে- তিনি তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এ ধরনের কথা বলেন কিনা।
এ বিষয়ে আরো প্রশ্ন করতে চাইলে দ্রুত সংবাদ সম্মেলন শেষ করে চলে যান ড. হাছান মাহমুদ।
এর আগে তিনি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে প্রথম গুম-হত্যার রাজনীতি শুরু করেন।
সাম্প্রতিক অপহরণ ও গুমের নিন্দা জানিয়ে সাবেক এ বনমন্ত্রী বলেন, ২০১৩ সাল জুড়ে যারা দেশে অস্থিরতা তৈরি করে রেখেছিল, তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খালেদা জিয়া সন্ত্রাসের নেত্রী। হত্যা-গুম অপহরণের সঙ্গে তার দলের নেতাকর্মীরা যুক্ত।
তিনি বলেন, বুধবার বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, গুম-হত্যার সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত। উনার শাসনামলে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা-গুম করা হয়। ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ৮ হাজার ৪৩৩ জন হত্যা-গুমের শিকার হয়েছে। উনার হত্যা-গুমের রাজনীতি থেকে নিজ দলের নেতাকর্মীরাও রক্ষা পায়নি।
আওয়ামী লীগ গুম-খুনের রাজনীতি বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, অপহরণ, হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের সঙ্গে যেই জড়িত হোক না কেন, কিংবা যে দলের হোক না কেন তাদের সনাক্ত করে খুঁজে বের করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক- তা আমাদের দল চায়। সরকারও এক্ষেত্রে বদ্ধপরিকর।
হাছান মাহমুদ বলেন, যারা দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চায়, অতীতের মতো হত্যা, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করতে চায়- তাদের ষড়যন্ত্র রুখে দাড়ান। শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হোন। হত্যা, সন্ত্রাস, গুম, অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ান। আওয়ামী লীগ আপনাদের পাশে আছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন- আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদ ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, সাবেক দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূইয়া ডাবলু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।