সিদ্ধিরগঞ্জে অপহৃত ব্যবসায়ী সাভারে উদ্ধার

Rescue উদ্ধারসিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, নারায়ণগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অপহৃত ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামকে সাভারের নবীনগর থেকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

অপহরণের একদিন পর শুক্রবার রাতে তাকে উদ্ধার করা হয় বলে র‌্যাব-৪ এর কর্মকর্তা এএসপি কামরুল ইসলাম এবিসি নিউজ বিডিকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি এখন সাভারে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)- ৪ এর কার্যালয়ে আছেন।

আশুলিয়া থানার পুলিশ জানায়, রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাভারের নবীনগরে স্মৃতিসৌধের বিপরীত দিকে বিসমিল্লাহ হোটেলের সামনে সাইফুলকে ফেলে চলে যায় অপহরণকারীরা।

সাইফুল পুলিশকে বলেছেন, অপহরণের পর তাঁকে সারা দিন চোখ বাঁধা অবস্থায় গাড়িতে ঘোরানো হয়। এর পর তাঁকে এক জায়গায় ফেলে দিয়ে যায় অপহরণকারীরা। তিনি এ সময় স্থানীয় লোকজনকে তাঁর পরিচয় ও অবস্থার কথা জানান।

পুলিশ আরও জানায়, র‌্যাব-৪ এর কার্যালয়ে সাইফুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

অপহৃত সাইফুল জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে। তিনি সোনামিয়া মার্কেটের সামিয়া সুপারশপের মালিক।

র‌্যাব সদর দপ্তরের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক এটি এম হাবিবুর রহমান এবিসি নিউজ বিডিকে জানান, রাত ১টায় এ বিষয়ে সাভারে নবীনগরে বিস্তারিত জানানো হবে।

সাইফুল ইসলামের স্ত্রী সাদিয়া সুলতানা  জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাইফুলের মোবাইলে কে বা কারা ফোন করে সানারপাড় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। রাত দুইটার দিকে সাইফুলের দোকানের ম্যানেজার মো. আব্দুল হান্নানের মোবাইলে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ফোন করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় তিনি শুক্রবার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেন।

বিক্ষুব্দ জনতা শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ সন্ধ্যার মধ্যে অপহৃত সাইফুলকে উদ্ধারের আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্দ জনতা সাময়িক সময়ের জন্য অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।

এছাড়া বৃহস্পতিবার চাকুরীজীবী তৌহিদুর রহমানও (৩৫) অপহৃত হন।

অপহৃত চাকুরীজীবী তৌহিদুর রহমানের বাবা এখলাছুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, গত ২৯ এপ্রিল সকালে তৌহিদ অফিসের উদ্দেশ্যে ঢাকার মিরপুরে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। ৩০ এপ্রিল রাত সোয়া ১২টার দিকে তার মোবাইলে তৌহিদের মোবাইল থেকে একটি মেসেজ আসে। মেসেজে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য ফরহাদ ও স্বপন দায়ী।’ তিনি তার ছেলে অপহরণের বিষয়টি থানায় জানালেও পুলিশ লিখিত অভিযোগ নিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে গণমাধ্যমে বিষয়টি জানাজানি হলে শুক্রবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ একটি লিখিত অভিযোগ নেয়।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ