প্রধানমন্ত্রীকে নিতে হবে সাত হত্যার দায়
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাত হত্যাকাণ্ডের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের জীবনের নিরাপত্তার দেয়ার দায়ীত্ব আপনাদের। আপনারা নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে এর দায়ভার আপনাদের নিতে হবে।’
মাহবুব বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের অতিদ্রুত গ্রেফতার করে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করান নইলে জনগণের কাঠগড়ায় আপনাদের দাঁড়াতে হবে।’
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আয়োজিত ‘নারায়ণগঞ্চের আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার হত্যাসহ সকল অপহরণ গুম ও হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভায়’ তিনি এ সব কথা বলেন।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ক্ষমতা চিরস্থায়ী না। কোনো স্বৈরাশাসকই এদেশে টিকে থাকতে পারেনি।
বর্তমান সরকারকে দায়ীত্বহীন সরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসেনি। তাই জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়ীত্ব নাই। মানুষের জীবন নিয়ে তারা তামাশা করছে বলেও উল্লেখ করেন বার কাউন্সিলের এ নেতা।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রতি সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নাই। বরং সরকারকেই আইন শৃংখলা বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করছে।
সারা দেশে কোথাও যেন সাদা পোশাকের কোনো আইন শৃংখলা বাহিনী কাউকে গ্রেফতার করতে না পারে সে বিষয়ে প্রেসনোট প্রেরণ করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।
সরকারের প্রতি হুঁশিয়ার উচ্চারণ করে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, কালো কোর্টকে ক্ষ্যাপাবেন না। কালো কোর্ট খুব খারাপ। একবার রাজপথে নামলে কোনো সরকারই টিকে থাকতে পারে না।
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবু্ব উদ্দিন খোকন বলেন, নারায়ণগঞ্জের হত্যাকাণ্ডের জন্য সব দায়দায়ীত্ব প্রধানমন্ত্রীর উপর। প্রধানমন্ত্রী দোষীদের বাঁচানোর জন্য বিএনপির উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন।
প্রতিবাদ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, বার কিউন্সিলের সদস্য গোলাম মোস্তফা খান, ঢাকা আইনবীজী সমিতির সভাপতি মহসিন মিয়া, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি বোরহান উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।
এর আগে গত ২ মে বার কাউন্সিল অপহরণ, গুম ও হত্যার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করাসহ সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেন।